গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায় ডিইউজে’র পুনঃনির্বাচনের দাবি

আপডেট: March 16, 2024 |

সদ্য সমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নির্বাচনে জাল ভোটসহ ব্যাপক অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র বিরোধী ফলাফল প্রত্যাহার করে ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ঐতিহ্য রক্ষায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।

আজ বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট ও জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এমন ঘোষণা দিয়েছেন।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট এর সভাপতি এড. কামরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী ও নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী খায়রুল আলম এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ডিইউজে’র নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মজিদ, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সদস্য সচিব আবু সাইদ, জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান বাবু, ডিইউজে’র সিনিয়র সহ সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সহ সভাপতি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সুজন, ডিইউজের বিদায়ী কল্যাণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী জুবায়ের রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাইফ আলী, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী রেজাউল কারিম শিপন, ডিইউজে’র সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, ডিইউজে’র নেত্রী রেহানা আক্তার, নির্বাহী সদস্য প্রার্থী কবি এস.এম মোশাররফ হোসেন, শাহীন আলম, রাগিবুল রেজা, মাসুম আহমেদ, হুমায়ুন মুজিব, জহিরুল ইসলাম, শাহীন ও ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।

কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, প্রথম থেকেই নির্বাচনে ডিইউজে’র গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করা হয়েছে। দুইজন প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পেলে পুনরায় ভোটের কথা গঠনতন্ত্রে উল্লেখ থাকলেও সদ্য সমাপ্ত ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদে সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরীকে ১ বছর করে সভাপতি পদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এই দায়িত্ব দেয়া গঠনতন্ত্র বিরোধী ও অবৈধ। এই পদে পুনরায় ভোট দিয়ে একজনকে নির্বাচিত করতে হবে।

এছাড়াও ফলাফল ঘোষণাকে অন্যান্য প্রার্থীরা ষড়যন্ত্রমূলক বলে যে অভিযোগ তুলেছেন তাও নিস্পত্তি করতে হবে। বারবার ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কথা বলে বিগত কমিটি সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নির্বাচনের তারিখ বারবার ঘোরানো হয়েছে। এর ফলে গঠনতন্ত্র বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মজিদ বলেন, নির্বাচনে ইলেকট্রনিক কাউন্টিং মেশিন ব্যবহার করে সঠিক ফলাফল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের। কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী আশরাফুল আলমকে দেখানো হয়েছে ১২১ ভোট অথচ তিনি অনেক জনপ্রিয় নেতা।

ব্যালট পেপার তার নাম ১ নাম্বারে থাকলেও ফলাফল শীটে তার নাম ২ নাম্বারে দেখানো হয়েছে। এটি ফলাফল ঘোষণায় কারচুপির একটি বড় দৃষ্টান্ত। প্রতিটি প্রার্থীর অধিকার খর্ব করা হয়েছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে।

তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে অল্প ভোট দেখিয়ে। তাই আমাদের দাবি ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাহার ও নবঘোষিত কাউকে যাতে দায়িত্ব দেয়া না হয় এজন্য সোচ্চার থাকতে হবে সাধারণ সদস্যদের।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট এর সভাপতি এড. কামরুল ইসলাম বিগত কমিটির নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা আছেন তারা নতুন ঘোষিত কমিটির হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

আগামীকাল ১৭ মার্চ ২০২৪ইং রোজ রবিবার বেলা ১১টায় এই দাবিতে আন্দোলনরত সাংবাদিকদের ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সামনে অবস্থান নেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান বাবু বলেন, বর্ণচোরার মত লুকিয়ে থাকা জামায়াত-শিবিরের সদস্যরা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।

এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় জামাতি ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই কারণে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই বর্ণচোরাদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ডিইউজে’র ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এই ইউনিয়নের সাথে বঙ্গবন্ধুর অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এই ইউনিয়নের সদস্য শহীদ বুদ্ধিজীবীদের এদেশীয় রাজাকার, আলবদর ও তাদের দোসররা পাকিস্তানী সৈন্যদের সহায়তায় ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এই ইউনিয়ন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র আর হতে দেয়া হবে না।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর