এর মধ্যে ‘ধারাবাহিক’ বৃষ্টির বাধার কথা তো বলা হয়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুবার বৃষ্টির বাধার মুখে পড়ে ম্যাচ।
ছয় উইকেটে বাংলাদেশের সহজ জয়
তবে ২৫ বলে ২৩ রানের ইনিংসটা তাঁকে ঠিক কতটা খুশি করতে পেরেছে, প্রশ্নসাপেক্ষ। আউট হয়ে ফেরার সময় গ্যালারি থেকে ‘ভুয়া ভুয়া’ ধ্বনিও শুনলেন লিটন। লিটনকে ঘিরে আলোচনায় কিছুটা আড়ালেই চলে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। খুব একটা ডানা মেলতে পারছেন না তিনিও। শেষ ১২ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে একটিমাত্র ফিফটি।
সুবিধা করতে পারেননি জাকের আলি অনিকও। আগের ম্যাচে ব্যাটিং না পাওয়া ব্যাটার এদিন ব্যাটিং অর্ডারের ওপরে উঠে আসেন। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভার বলে তিনি আউট হন ১২ রানে। ৯৩ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংসের বাকি গল্পটা তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। তাওহিদ ৩৭ ও মাহমুদ ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
বোলারদের লড়াইয়ের এই পুঁজিটা জিম্বাবুয়ে পেয়েছিল ব্রায়ান বেনেট ও অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জন জিম্বাবুয়ের সোনালি যুগের সারথি অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে। বাবার মতো ছেলেও বাঁহাতি ব্যাটার। বাঁ হাতেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দর্শকদের বিনোদিত করেছেন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। তাঁর ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংসটি সাজানো চারটি চার ও তিন ছক্কায়। সঙ্গী বেনেটের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৪৪ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে তিন ছক্কা ও দুটি চার। প্রথম ম্যাচে ৪১ রানে সাত উইকেট হারিয়ে বসা দলকে অষ্টম উইকেটে ৭৯ যোগ করে টেনে তুলেছিলেন ক্লাইভ ম্যাডানডে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। সেদিন সফরকারীদের ইনিংস থামে ১২৪ রানে।
গতকাল ৪২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সেখান থেকে ৭৩ রানের জুটিতে এবার জিম্বাবুয়ের ত্রাণকর্তা বেনেট ও জোনাথন। জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে তোলে আগের ম্যাচের চেয়ে ১৪ রান বেশি। এবার অবশ্য তাদের অল আউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ১৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা তাসকিন আহমেদ এদিনও ১৮ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। ওপেনার মারুমানিকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে সফরকারীদের ধসের সূচনাও এই পেসারের হাতেই। ধুঁকতে ধুঁকতে ৩০ বলে ১৭ রান করা আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বিকে ফিরিয়ে প্রতিপক্ষকে আরো চেপে ধরেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এরপর একই ওভারে তিন বলের মধ্যে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৩) ও ম্যাডানডেকে (০) তুলে নেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের বলে ক্রেইগ আরভিনের বিদায়ে জিম্বাবুয়ের বিপদ আরো ঘনীভূত হয়। সেখান থেকে পুরনো চিত্রনাট্য মেনে বেনেট ও জোনাথন জিম্বাবুয়েকে উদ্ধার করলেও ফল সেই একই।