আহত শিক্ষার্থীর খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ
আবিদ হোসেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোহরাওয়ার্দী কলেজের আহত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহর চিকিৎসার খোঁজ নিতে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) গেলেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কাকলি মুখোপাধ্যায় সহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
আব্দুল্লাহ্ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট রাজধানীর বংশাল এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন।তখন তার মাথায় গুলি লাগে।
এর পর তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে যাওয়া হয়।আবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে সি এম এইচ এ স্থানান্তর করা হয় ।
এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, গত ২২ ই আগষ্ট আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবদুল্লাহকে সিএমএইচে আনা হয়।
আমাদের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকার পরে,গত ১০ই সেপ্টেম্বর আমরা আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে একটি অপারেশন করি। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনি বাসায় যাওয়ার মত হয়নি। আরও কিছুদিন আমাদের পর্যবেক্ষণে রেখে তারপর ছুটি দিব।
তার পিতা জানায়, আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক গুলিবর্ষণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তার ছেলে।
তখন আবদুল্লাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে আমরাও হাসপাতালে চলে আসি।এছাড়াও তিনি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়ার জন্য।
হাসপাতালে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ভেতরে থেকে আবদুল্লাহর মায়াবী মুখখানি দেখে বলেন, আবদুল্লাহ যে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছে, সেটি নতুন প্রজন্মকে অনেক অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে থেকে আবদুল্লাহ সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিলাম। তারপর আবদুল্লাহর দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোঃ সাইফুল আলম নোমানী, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাসুদুল হাসান।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকবর চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক আবিদ হোসেন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ সাব্বির হাওলাদার।