বগুড়ায় পাকুড় গাছের শিকড়ে ঘেরা প্রাচীন মসজিদ

আপডেট: March 4, 2025 |
inbound5120420900115489290
print news

শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারতা গ্রামের প্রায় ৩০০গজ পূর্বপাশে রয়েছে একটি প্রাচীন মসজিদ।

মসজিদটির উপর গজে উঠা পাকুড় গাছের শিকড়-বাকড়ে ছেয়ে গেছে পুরো মসজিদের ওয়াল ও গম্বুজ। ঝোপ-জঙ্গলের ভিতরে থাকা এই মসজিদটি কয়েক বছর আগে করো নজরেই আসেনি।

স্হানীয়রাও কোনদিন মনে করেনি এটি একটি প্রাচীন মসজিদ।অনেক প্রাচীন স্হাপনা মনে করলেও তেমন গুরুত্ব ছিলনা সেটি নিয়ে। মসজিদ হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পর তা দেখার জন্য মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়।

বর্তমানে দূরদুরান্ত থেকে অনেক মানুষ ছুটে আসে এই মসজিদটি দেখার জন্য।

আগে মানুষের ধারণা না থাকলেও সময়ের প্রয়োজনে যখন ঝোপ-জঙ্গল কেটে ফেলা হয় তখন মানুষের নজরে আসে প্রাচীনকালের তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি।

গুন্নিপাড়া জঙ্গলেের এই মসজিদের কথা স্হানীয়ভাবে প্রচার হলে সকলে মসজিদটি দেখার জন্য ছুটে যান সেখানে।

পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষও এই মসজিদটি দেখার জন্য এখানে ছুটে আসেন।

কাহালু উপজেলা সদর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে বোরতা-সিন্দুরাইল গ্রামের মাঝামাঝি স্হানে অবস্হিত এই মসজিদ।

কখন কীভাবে কে নির্মাণ করেছে এই মসজিদ সেই ইতিহাস বা ধারণা নেই এলাকার মানুষের মধ্যে। তবে অনেকের ধারনামতে ভারত উপমহাদেশের মুসলিম শাসন আমলের স্বর্ণযুগে এই মসজিদটি নির্মাণ হতে পারে।

এই মসজিদের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট প্রস্ত ৮ ফিটের মত হবে।পাতলা ইট দিয়ে চুনসুরকির গাঁথুনি মসজিদের দেওয়াল গুলো প্রায় দুই ফিটের মত হবে।

মসজিদের ভিতরে ঢুকতে হলে মাথা হেলে ঢুকতে হবে।এই মসজিদের বেশি হলে ৭/৮ জন ব্যক্তির নামাজের জায়গা রয়েছে। তবে বর্তমানে এখানে নামাজ পড়ার মত এখন আর কোনো পরিবেশ নেই।

বোতরা গ্রামের কোব্বাত,মুন্টু ফকির ও শাকোহালী গ্রামের মিন্টুখানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান,গুন্নিপাড়া জঙ্গল এলাকা ঝোপ-জঙ্গল আর উচু টিলার মত ছিল। সেখানে আগে মানুষের তেমন যাওয়া আসা ছিলনা।

সময়ের প্রয়োজনে কয়েক বছর আগে সেখানকার ঝোপ-জঙ্গল কেটে উচুঁ মাটি সমান করে ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা হয়।

সেখানকার অনেক ঝোপ-জঙ্গল কেটে ফেলা হলেও মসজিদের উপর তিনটি বিশাল পাকুড় গাছ কেটে ফেলার সাহস আজও কেউ পায়নি।

আগে এই মসজিদ নিয়ে মানুষের কোনো আগ্রহ না থাকলেও প্রাচীনকালের এই মসজিদ দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে আসে।

জানা গেছে,এই মসজিদে যাওয়ার মত কোনো রাস্তা ছিলনা।স্হানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করার পর দর্শনার্থীদের পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার মত একটি সরু রাস্তা করা হয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর