গৌরবের তিন দশকে ডিআইইউ

আপডেট: April 9, 2025 |
inbound3496034569115717738
print news

ডিআইইউ প্রতিবেদক: ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৩০ বছরের গৌরব, আত্মসমালোচনা ও আগামীর প্রত্যাশা
সময় দ্রুত বয়ে চলে। দেখতে দেখতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৩০ বছরে পা দিলো।

এই তিন দশকে শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেনি, বরং হাজারো তরুণ তরুণীর স্বপ্ন গড়ার কারিগর হয়ে উঠেছে।

এই বছর ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পূর্ণ পেয়েছে তার গৌরবময় ৩০ বছর। তিন দশক ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চ শিক্ষার জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। শিক্ষা,নৈতিকতা ও নেতৃত্বগুণ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা সত্যি প্রশংসনীয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বিভাগের শিক্ষার্থী জানান তাদের মূল্যবান মতামত এতে উঠে আসে শিক্ষা কেন্দ্রিক কথা ও জ্ঞন চর্চার মধ্যে যেনো সীমাবদ্ধতা না পায়।

বিশ্ববিদ্যালয় এই শব্দটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানকেই বুঝায় না, এটি একটি স্বপ্নের স্থান, এটি ভবিষ্যৎ গড়ার কারখানা। এখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তরুণ-তরুণীরা যাদের চোখে থাকে আশার দীপ্তি, জ্ঞানের তৃষ্ণা, আর জীবনের নতুন মানে খোঁজার চেষ্টা।

আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত এমন এক জায়গা, যেখানে জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি গড়ে ওঠে চিন্তা স্বাধীনতা। এখানে শুধু শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বইয়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকবে না, তারা শিখবে যুক্তি, মানবতা ও সহনশীলতা।

এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার অভিজ্ঞতা শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়- এটি আত্মবিশ্বাস দক্ষতা এবং দেশ প্রেম গড়ে তোলার একটি যাত্রা।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ একটি অন্যতম গর্বের বিষয়। এখানে পড়াশোনা মানেই কেবল পাঠ্য বই মুখস্থ করা নয়- এখানে আমরা শিখি চিন্তা করতে, বিশ্লেষণ করতে, এবং একটি সুন্দর, ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখতে।

শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাদের প্রেরণার উৎস।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষিকা গণ কেবল পাঠদান করেন না, তারা আমাদের পথপ্রদর্শক, পরামর্শদাতা এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার সহযাত্রী।

তাদের মধ্যে রয়েছে গভীর জ্ঞানের পাশাপাশি এক অসাধারণ মানবিক স্পর্শ। ক্লাসরুমের বাহিরে গিয়েও তারা আমাদের চিন্তা করতে শেখান – তাদের কাছ থেকে আমরা শিখি কিভাবে একজন সচেতন নাগরিক হওয়া যায়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্বিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞান শুধু একটি বিষয় নয়- এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি,একটি দায়িত্ব এবং একটি স্বপ্ন।

এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়ে আমি গর্বিত, কারণ এখানে আমি কেবল একজন শিক্ষার্থী নই, আমি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তোলার অংশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে যুক্তি ও ন্যায়ের আলোয় একটি সমাজ কল্পনা করতে হয়।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৩০ বছর পূর্তি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই যাত্রায় আমি নিজেকে একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে যুক্ত করতে পেরে গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ কামনা করি যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়াতে পারে।

তিশনা ত্রিশা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান। দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি তার নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করেছে। বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি—বিশেষ করে আইন, ব্যবসায় প্রশাসন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে আমরা অনেক মেধাবী শিক্ষক পেয়েছি, যারা নিজেদের নিষ্ঠা আর জ্ঞানের আলোয় শিক্ষার্থীদের পথ দেখিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা এখন শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। উচ্চশিক্ষা, চাকরি কিংবা উদ্যোক্তা—সব ক্ষেত্রেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের গর্বের জায়গা।

তবে, যেমন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।

কিছু কাঠামোগত সমস্যা, গবেষণায় সীমিত সুযোগ, পর্যাপ্ত একাডেমিক রিসোর্সের অভাব, আর কখনো কখনো প্রশাসনিক স্বচ্ছতার ঘাটতি—এসবই শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার সঙ্গে একেবারে মেলে না।

প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, সৃজনশীলতার চর্চা এবং গবেষণাকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় হোক এমন একটি জায়গা, যেখানে ছাত্ররা কেবল চাকরির জন্য নয়, চিন্তাশীল নাগরিক হয়ে উঠার জন্যও পড়াশোনা করবে।

যেখানে শিক্ষক হবেন কেবল পাঠদাতা নয়, হবেন একজন পরামর্শদাতা, একজন মেন্টর। চাই এমন একটি প্রশাসন, যা হবে স্বচ্ছ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বান্ধব, এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।

আজ ৩০ বছর পূর্তিতে আমরা শুধু পেছন ফিরে তাকাচ্ছি না আমরা ভবিষ্যতের দিকেও তাকাচ্ছি। ডিআইইউ যদি প্রযুক্তি, গবেষণা, নৈতিকতা ও মননের দিক দিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নেয়, তবে এ প্রতিষ্ঠান হতে পারে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সির এই ৩০ বছর হোক গর্বের ভিত্তি আর সামনে চলার দীপ্ত শপথ।

শুভ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

মোঃ আবু সাঈদ
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর