বগুড়ায় লাল কাপড়ে ঢেকে দিল পলিটেকনিকের মূল ফটকের নাম


শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ ৬ দফা দাবি ও কারিগরি শিক্ষা সেক্টরের বৈষম্য দূর করার দাবিতে লাগাতর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বগুড়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
১৯ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১২ টায় সর্বশেষে “রাইজ ইন রেড” কর্মসূচির অংশ হিসাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের নাম লাল কাপড়ে ঢেকে দেন।
ইনিস্টিউটের ক্যাম্পাস থেকে একটি মিছিল বের হয়ে ইনিস্টিউটের গেটে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানেই তারা সমাবেশ করেন।শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের নাম ঢাকা রাখা হবে।
একই দিনে বগুড়া শহরের নওদাপাড়া এলাকায় টিএমএসএস টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে।
তারাও একই দাবিতে আন্দোলনন সংহতি প্রকাশ করন।
এর আগে শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে করেন।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে শুরু হয়ে কলোনী এলাকা প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা গেটের সামনে রাস্তায় ওপর সমাবেশ করেন।
সেখানে তারা বলেন,দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।
এর আগের দিন, বুধবার(১৭ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা শহরের বনানী মোড়ে ঢাকা- রংপুর মহাসড়ক আবরোধ করেন।
সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় বেলা পৌণে ৩টা পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।এতে বগুড়া সরকারি পলিটেকনিকসহ ৫টি বেসরকারি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বিকালে ঢাকা ও কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এনে বগুড়া পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে সন্ধ্যায় মশাল মিছিল ও সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগেও ১৫ এপ্রিল বগুড়া শহরের জোর পয়েন্ট সাতমাথায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সেই সমাবেশে তারা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহার,নিয়োগবিধি সংশোধন, শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বয়সসীমা নির্ধারণ,আলাদা ‘কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষা’ মন্ত্রণালয় গঠন এবং উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার আমরা,সর্বশেষে ‘রাইজ ইন রেড’কর্মসূরির অংশ হিসাবে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মূল ফটকের নাম লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
ছয় দফা ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চলবে এবং প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।