আগামী বছরের জুনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট: May 29, 2025 |
inbound4772244295524432218
print news

জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন—এই ছয় মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৮ মে) টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসোর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠক-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচন আয়োজনের জন্য ছয় মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন এবং সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেই একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে।

জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু তারো আসো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং একটি অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি মূল অগ্রাধিকারে কাজ করছে—গভীর সংস্কার, রাজনৈতিক সহিংসতার বিচার এবং অবাধ নির্বাচন। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করা ও ঋণ পরিশোধে অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

পূর্ববর্তী সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। তরুণ প্রজন্ম সেই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং তাদেরই আহ্বানে আমি দায়িত্ব নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, গত ১০ মাসে জাপান বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং এই সফর একরকম কৃতজ্ঞতা জানানোর উদ্দেশ্যে। ইউনূস এ সময় তারো আসো ও জাপানি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকে অংশ নেওয়া জাপানি আইনপ্রণেতারা বলেন, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) জাপানি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। বাংলাদেশ আশা করছে, আগস্টের মধ্যে আলোচনার সমাপ্তি ঘটিয়ে সেপ্টেম্বরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এটি হলে জাপান হবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ করা প্রথম দেশ।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস জাপানি প্রতিনিধিদের কাছে রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুতদের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং টেকসই প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা অন্য দেশের আশ্রয় চায় না, তারা শুধু নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে চায়—এই দিকটি তাদের সংকটকে বিশেষভাবে আলাদা করে।”

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর