নোবেল শান্তি পুরস্কারে ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিলেন নেতানিয়াহু


ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের হাতে এ সংক্রান্ত একটি চিঠির কপি তুলে দেন। চিঠিটি ইতোমধ্যে নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছেও পাঠানো হয়েছে।
নৈশভোজকালে নেতানিয়াহু বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) একের পর এক দেশে, একের পর এক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় আমরা ইতিবাচক ফলাফল দেখছি।”
এর আগেও একাধিকবার ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তবে এখনো তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পাননি। নোবেল না পাওয়ায় বহুবার প্রকাশ্যে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি।
ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান ও সার্বিয়া-কসোভো সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। মিসর-ইথিওপিয়ার মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের ঐতিহাসিক ‘আব্রাহাম চুক্তি’ সইয়ে তিনি বড় ভূমিকা রেখেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ছিল নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের তৃতীয় সাক্ষাৎ। এ সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সবকিছু ভালোভাবেই এগোচ্ছে। হামাস যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আগ্রহী।”
একই সময় কাতারের দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছিল। নেতানিয়াহু এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নাকচ করে বলেন, “ইসরায়েল সব সময় গাজা উপত্যকার ওপর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে। কেউ বলতেই পারে এটা পূর্ণ রাষ্ট্র নয়। আমাদের তাতে কিছু যায় আসে না।”
এদিকে, হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের নৈশভোজ চলার সময় বাইরে ট্রাম্পবিরোধী ও ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্লোগান দেন।