ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর খবরটি সত্য নয় : সংগীতশিল্পীর স্বামী

আপডেট: July 8, 2025 |
boishakhinews 16
print news

বরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে এই শিল্পীর স্বামী গাজী আবদুল হাকিম জানান, মৃত্যুর খবরটি সত্য নয়।

দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন ফরিদা পারভীন। কয়েক দিন আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পর গত ৬ জুলাই তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে আবারো তাকে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর দেড়টায় ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন শিল্পীর ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। তিনি বলেন, “একটু আগেই আইসিইউতে আম্মার (ফরিদা পারভীন) সাথে আমার কথা হয়েছে, তার অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। ডাক্তার বললেন, ‘এখনো বেশ দুর্বল ও নাজুক অবস্থায় আছেন।”
সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে ইমাম জাফর নোমানী বলেন, “সবাইকে অনুরোধ, আপনারা দয়া করে কোনো গুজব ছড়াবেন না এবং গুজবে কানও দেবেন না। আমি আমার ফেসবুক থেকে আম্মার সব আপডেট দিতে থাকব, ইনশাআল্লাহ।”

এর আগে গুঞ্জন ছড়ায়, অর্থের অভাবে ফরিদা পারভীন উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এরপর কিছু সংগঠন ও ব্যক্তি অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ফরিদা পারভীন এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ইমাম জাফর নোমানী বলেন—“আম্মার চিকিৎসার জন্য কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। এ ধরনের কোনো আবেদন আম্মা বা আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়নি।”

১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।

ফরিদা পারভীনকে বলা হয় লালন কন্যা৷ লালন ফকিরের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন৷ ক্ল‌্যাসিক ও আধুনিক গানেও নন্দিত তিনি। ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর