বগুড়ায় প্রেম প্রত্যাখ্যানে দাদি-নাতবউকে গলা কেটে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট: July 17, 2025 |
inbound1567329384419453086
print news

শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দাদি-নাতবউকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার প্রধান অভিযুক্ত সৈকত হাসানকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোরে বগুড়া শহরের খান্দার এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের পাশে অভিযান চালিয়ে সৈকত হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সৈকত হাসান বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মোঃ সোহেল ইসলাম এর ছেলে ।
বগুড়া জেলা ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,গ্রেফতার এড়াতে সৈকত হাসান কৌশলে আত্মগোপনে ছিল।

তবে পুলিশের একটি চৌকস আভিযানিক দলের অভিযানে অবশেষে তাকে ধরা হয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে।

এর আগে গত বুধবার(১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় এই নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটে।

এই ঘটনায় নিহতরা হলেন- ওই এলাকার মৃত- আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া(৮৩) এবং পারভেজ ইসলাম স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)।সম্পর্কে তাঁরা দিদিশাশুড়ি ও নাতবউ।

একই ঘটনায় আহত হন এসএসসি পাস করা বুলবুল ইসলাম এর মেয়ে বন্যা (১৬)।

নিহতদের স্বজনেরা জানান,সৈকত দীর্ঘদিন ধরে বন্যাকে উত্যাক্ত করত এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল।পরিবারের পক্ষ থেকে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানালে সৈকত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

গত বুধবার রাতে সৈকত ও তার সঙ্গে থাকা আরও ৭/৮ জন দূর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে প্রথমে হাবিবাকে, পরে লাইলী বেওয়াকে গলা কেটে হত্যা করে।

বন্যা বাঁধা দিতে গেলে তার পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়।তার চিৎকারে স্হানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে চিকিৎসক লাইলী বেওয়া ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান,ইতিমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সৈকত হাসনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরকে গ্রেফতার অভিযান চলছে। আহত বন্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলেও জানান তিনি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর