জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে ২ দিনের আল্টিমেটাম


তানিয়া শবনম, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর এবং জবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে উত্তাল হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা এই দাবিগুলো বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই দিনের চূড়ান্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘আবাসন আমার অধিকার—রুখে দিবে সাধ্য কার’, ‘জকসু নিয়ে গাফিলতি চলবে না’, ‘শিঁরদাঁড়া শক্ত করো—অজুহাত বন্ধ করো’সহ তীব্র স্লোগানে প্রশাসনের গাফিলতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আকাশ বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পানির ফিল্টারের মতো প্রাথমিক সুবিধার জন্যও আন্দোলন করতে হয়।
আমরা মার খেয়ে যে দাবি আদায় করেছি, প্রশাসন আজও তা বাস্তবায়ন করেনি। যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তবে আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদের জীবন নিয়ে খেলবেন না।
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে জবি প্রশাসন গভীর নিদ্রায় মগ্ন। দাবি না মানলে আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলবো, যেখানে আপনাদের দাঁড়ানোর সামর্থ্য থাকবে না।”
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “৫ আগস্টের ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর ভেবেছিলাম সরকারের কাছে আলাদা করে কিছু চাইতে হবে না।
কিন্তু দাবি আদায়ে আমরা টানা অনশন, সচিবালয়ে অবস্থান, এমনকি যমুনা পাড়ে প্রতিবাদ করেও প্রশাসনকে নড়াতে পারিনি। এক বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা এখনও হলে উঠতে পারেনি।
এই সপ্তাহের ভেতর জকসুর রোডম্যাপ ও আবাসন সমস্যার কার্যকর সমাধান না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।”
আইন বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জবির ইসলামিক ছাত্র শিবির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা বারবার জকসু নির্বাচনের দাবি জানালেও প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করেনি।
হল নির্মাণের দাবিতেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার সুনির্দিষ্ট তারিখ দিতে হবে। ‘কাজ চলমান’ বা ‘দ্রুত হবে’—এ ধরনের অস্পষ্ট আশ্বাস আর চলবে না। জবি শিক্ষার্থীরা যদি দামামা বাজায়, পুরো ঢাকা কেঁপে উঠবে।”
বক্তারা সতর্ক করে বলেন, সম্পূরক বৃত্তি, আবাসন সমস্যা ও জকসু রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে দ্বিতীয় দফা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে, আর এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনকেই বহন করতে হবে।