কমছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঐচ্ছিক ছুটি
করোনাভাইরাস সঙ্কটের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঐচ্ছিক শিক্ষা ছুটি সীমিত করার কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে ঈদুল আজহার ছুটি ১৫ দিন থেকে কমিয়ে তা ১০ দিন ও দুর্গাপুজার ছুটি সাত দিন থেকে কমিয়ে তিন দিন করা হতে পারে। সেইসঙ্গে শ্রেণিকক্ষে ক্লাসের সময় ৪০ মিনিটের পরিবর্তে এক ঘণ্টা করারও কথা ভাবা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে শিক্ষা সচিব মাহাবুব হোসেনের সঙ্গে সারা দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্টসহ সংশ্লিষ্টদের ভিডিও কনফারেন্সে এই সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ছুটিগুলো সমন্বয় করলে আমাদের যে সময়টা চলে গেছে, সেই সময়টা কাভার হবে। বিষয়টি স্টাডি করে ওয়ার্কআউট করে আমরা সচিব মহোদয়কে দেব, তারপর উনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
করোনাভাইরাসের প্রকোপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের সব অফিস আদালত কয়েক দফায় ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সেই ছুটি এখনো চলছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে সীমিত আকারে ব্যাংক, আর জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
তবে এর মধ্যে আবারও সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি। আজ মঙ্গলবার এই কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় কমিটির সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, ওই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ ছুটি বাড়ানোর এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। আমরা আমাদের মিটিংয়ের সামারি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছি। সেখানে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আগামী ১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।
বৈশাখী নিউজ/ বিসি