করোনায় ৩০ জন মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ২৬৮৬

আপডেট: July 11, 2020 |

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৬৮৬ জন। শনিবার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

দেশের মোট ৭৭টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ হাজার ৪৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ১৯৩টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯ লাখ ২৯ হাজার ৪৬৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৬৮৬ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩০ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩০৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬২৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮ হাজার ৩৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী পাঁচজন। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন।

এদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, তিনজন খুলনা বিভাগের এবং একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর