এক সিরিজের জন্য বিসিবির দরকার ১০০ কোটি টাকা!

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গিয়েছিল ক্রিকেট। তবে করোনার সংক্রামণ ন আ ,কমলেও ধীরে ধীরে মাঠে ফিরতে শুরু করেছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এ খেলাটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে ইংল্যান্ড। এছাড়া শুরু হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ দিয়ে আবারও শুরু হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বর্তমানে টেস্ট সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। তবে করোনার এই সময়ে সিরিজ আয়োজন করতে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় খরচ বেশি হচ্ছে বলে বিসিবিকে জানিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ কথা জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, এখন বায়োসিকিউরিটি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন। এখন সিরিজ আয়োজন অস্বাভাবিক খরুচে ব্যাপার। ইসিবি জানিয়েছে, একটা সিরিজে নাকি ৭-৮ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হচ্ছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকা! সরকারের সাহায্য ছাড়া বিসিবির পক্ষে এত টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। যদি তাড়াতাড়ি করোনাভাইরাস এখান থেকে চলে যায় তাহলে ভালো।

করোনা ভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যেই বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। চলতি বছরে তামিম-মুশফিকদের রেকর্ডসংখ্যক টেস্ট খেলার কথা থাকলেও করোনার কারণে সে সুযোগ নষ্ট হয়ে গেছে।

গত এপ্রিলে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলতে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল টাইগারদের। এরপর মে মাসে আয়ারল্যান্ডে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। জুনে দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। জুলাই মাসে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা ছিল শ্রীলংকায়। এরপর আগস্টে দুই টেস্ট খেলতে আসার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। করোনায় এসব সিরিজ সিরিজ বাতিল হয়ে গেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে সিরিজ আয়োজন প্রসঙ্গে পাপন বলেন, এফটিপিতে এ বছর আমাদের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যেসব সিরিজ ছিল তারা সবাই আমাকে নিশ্চিত করেছে খেলাগুলো হবে। নতুন করে সূচি করতে হবে। শুধু অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য সময় বের করা যাচ্ছে না। আর সামনে যে সিরিজগুলো হওয়ার কথা সেগুলো ঠিকই আছে। ফেব্রুয়ারিতে আমরা নিউজিল্যান্ড যাব। জানুয়ারির ৪ তারিখ বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মার্চে আসবে শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি ভালো থাকলে সিরিজগুলো হবে।

বৈশাখী নিউজজেপা