হাসপাতালের বারান্দায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন সৌমিত্রর মেয়ে পৌলমী

আপডেট: November 15, 2020 |
print news

প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ ৩৯ দিন কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রোববার দুপুরে হার মেনেছেন । বরেণ্য এই শিল্পীর পরিবার হারালো বটবৃক্ষ। সৌমিত্রর মেয়ে পৌলমী বোস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাবার পাশেই ছিলেন। বাবাকে হারিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।

এদিকে সৌমিত্রের মৃত্যুর পর পৌলমী তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন—গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার প্রিয় বাবা…আমার বাপি আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পারিবারিকভাবে আমরা বিধ্বস্ত! দয়া করে তার আত্মার জন্য প্রার্থনা করবেন। বিনীত এবং আন্তরিকভাবে সকলের কাছে অনুরোধ করছি, দয়া করে এখনই কেউ আমাদের বাড়িতে আসবেন না। আমার মা এবং আমার ছেলে স্বাস্থ্যগতভাবে নাজুক। দয়া করে তাদের ঝুঁকির মুখে ফেলবেন না। মহামারি করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে আপনি বাড়ি থেকেই প্রার্থনা করুন। আপনি যদি সত্যই উদ্বিগ্ন হন তবে আমার বাবা যা চাইতেন তার প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন।

 

পৌলমী ব্যক্তিগত সময় চেয়ে লিখেছেন—দয়া করে আমাকে ফোন বা মেসেজ পাঠাবেন না। আমি যখন কথা বলার অবস্থায় ফিরব, তখন সবার সঙ্গে কথা বলব। আমাকে ব্যক্তিগত কিছু সময় দিন, এখন এটা আমার প্রয়োজন। কেউ যদি আমার মা বা ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে চান তবে তাদেরকে ফোন করুন। দয়া করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না।

রোববার সকালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এদিন ভোর ৫টায় হাসপাতালে পৌঁছান পৌলমী। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর গণমাধ্যমে পৌলমী বলেন, আপনারা বাবার জন্য দুঃখ পাবেন না। বরং হাসিমুখে তার জীবনকে উদযাপন করুন।

অভিনেতা সৌমিত্রর মরদেহ হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয় তার গলফ গ্রিনের বাড়িতে। স্বজনদের সঙ্গে শেষ দেখার পর তাকে নেওয়া হয় টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানস স্টুডিওতে। সেখানে শিল্পী-কুশলী-স্বজনদের শ্রদ্ধা জানানোর পর বেলা সাড়ে তিনটায় সৌমিত্রর মরদেহ নেয়া হয় রবীন্দ্রসদনে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার মধ্যে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নেওয়া হবে তার মরদেহ, সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর