ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলা: আসামি মজনুর সাজা যাবজ্জীবন হবে বলে আশাবাদ

আপডেট: November 18, 2020 |
print news

চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার রায় বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। রায়ে মামলার একমাত্র আসামি মজনুর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে তারা সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তাই রায়ে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

এদিকে, মজনুর আইনজীবী (সরকার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত) বলছেন, মজনুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়নি। মামলায় তিনি খালাস পাবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। ১৩ কার্যদিবসে আমরা মামলার কার্যক্রম শেষ করেছি। মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আমরা ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।

এছাড়া, তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাই আমরা মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছি।’
তবে মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলামের দাবি, ‘মজনুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে মজনু খালাস পাবেন।’
এর আগে ১২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। ১৩ কার্যদিবসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন ওই ঢাবি ছাত্রী। এরপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে।

পরদিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ৯ জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দেন আদালত। ১৬ জানুয়ারি ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন অভিযুক্ত।
বর্তমানে মজনুকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর