ধর্ষণের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে বিয়ে করা তরুণকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট

ফেনী জেলা কারাগের বিয়ে করা জহিরুল ইসলাম জিয়া নামের  যুবককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত তাকে এক বছরের জন্য জামিন দেন। এর আগে ধর্ষণের শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে হাইকোটের নির্দেশে ১৯ নভেম্বর ফেনী জেলা কারাগারে ধর্ষক ও ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এতে বর ও কনেসহ দুপক্ষের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। ফেনী জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ান কাজী আবদুর রহিম। ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ও ১ লাখ টাকা উসুল ধার্য্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। একপর্যায়ে মিষ্টি মুখসহ একে অপরের সাথে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কোলাকোলি করেন উভয় পক্ষের স্বজনরা। এই আদেশে খুশি স্বজনরা। ফেনী জেলা কারাগারের জেলার জানান, তাদের জামিন হয়েছে শুনেছি এখনও কাগজপত্র হাতে আসেনি। কাগজপত্র হাতে আসলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত; গত ২৭ মে জেলার সোনাগাজীর চরদরবেশ এলাকার এক তরুণীকে ধর্ষণ করে জহিরুল ইসলাম জিয়া নামে এক ইউপি সদস্যের ছেলে। এর পরদিন ঐ তরুণী নিজে থানায় হাজির হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। একপর্যায় ২৯ মে ধর্ষক জিয়াকে আটক করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।

 

পরে অভিযুক্তের পরিবার জামিনে মুক্তি পেয়ে বিয়ে করবে শর্তে ধর্ষকের জামিন চেয়ে হাইকোটের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের আদালতে আপিল করলে হাইকোর্ট ওই আসামির জামিন না দিয়ে কারা ফটকেই ধর্ষক এবং ভুক্তভোগীর বিয়ে আয়োজনের জন্য ফেনী কারাগারের তত্ত্বাবধায়কের প্রতি নির্দেশ দেন। সেই সাথে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তারই ধারাবাহিতায় ১৯ নভেম্বর তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

 

বৈশাখী নিউজ/ এপি