এমপিও ভুক্তি চায় বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টর্স শিক্ষকেরা

”বঙ্গবন্ধু স্মারক বর্ষপঞ্জি-২০২১” মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে এবার ব্যতিক্রমী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলো বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ। দেশের ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা স্মারকলিপি ও আমরণ অনশনের হুমকি দিয়ে  মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স উঠিয়ে দিলে শিক্ষকদের কী হবে- জানতে চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, অনার্স-মাস্টার্স স্তর উঠিয়ে দেওয়ার আগেই এমপিওভুক্ত করতে হবে এ স্তরের শিক্ষকদের।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সালে প্রান্তিক নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণ ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে ও স্থানীয়ভাবে পড়ালেখার স্বার্থ বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রথম অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়।

বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে দীর্ঘ ২৮ বছরেও এমপিওভুক্ত করা হয়নি। এ সমস্যা সমাধান প্রত্যাশায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হলে কোনও লাভ হয়নি। শিক্ষকদের পদ জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত না থাকাকে দায়ী করে পাশ কাটানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে কখনও ভেবেও দেখেননি।

তিনি আরও বলেন, এমনকি সর্বশেষ ২০১৮ জনবল সংশোধনীতে এ স্তরের শিক্ষকদের পদ জনবলে অন্তর্ভুক্তিতে জনবল কাঠামো ও নীতিমালা সংশোধন কমিটির প্রথম বৈঠকে সবাই ঐক্যমতে পৌঁছালেও পরবর্তীতে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে সাম্প্রতিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি কলেজে আর অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু না রেখে কারিগরি শর্ট কোর্স চালুর বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন।

শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাবেশে বলা হয়, অনার্স-মাস্টার্স স্তর উঠিয়ে দিলে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কী হবে? এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পরিষ্কার করে এখনও কিছু বলেননি। আর রাষ্ট্রের বৃহত্তর কল্যাণে যেকোনো সৃষ্টিকে হঠাৎ করে বাতিল না করে একটু চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মণ্ডল বলেন, আমরা চাই— বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স স্তর উঠিয়ে দেওয়ার আগে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থায় এমপিওভুক্ত করা হোক। অন্যথায় ৩১৫টি কলেজকে জাতীয়করণ করে নেওয়া হোক। আর যদি তা না করা হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন শিক্ষকরা। মানববন্ধন ও সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সভাপতি হামিদুর রহমান,জহিরুল হক,মাঝহারুল হক পলাশ, প্রসঞ্জিৎ রায়, প্রদীপ দাশ, মোঃ আহমেদ আলী,মোঃ সফিকুল ইসলাম,জামিলুর রহমান, আলমগির হোসেন,ঢালি আব্দুল মান্নান,মিলন গোলদার সহ আরও অনেকে।