না খেতে পাওয়া জশ ফিলিপির অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সেনসেশন হয়ে ওঠা
মানুষের জীবন অনেকটা সিনেমার মতোই। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং ভাগ্য দুটি মিলে গেলে মানুষের জীবন বদলে যায়। যেমনটা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার উঠতি তারকা জশ ফিলিপির জীবনে। ৩ বছর আগেও তার পকেট ছিল ফাঁকা, দুপুরের খাবারের পয়সা জুটত না। এখন তিনি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সেনসেশন। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে তার অভিষেক হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। চলতি বিগ ব্যাশে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড়শ স্ট্রাইক রেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
সিডনি সিক্সার্সের হয়ে বিগ ব্যাশ মাতিয়ে এখন জাতীয় দলে ফিলিপি। প্রায় শূন্য থেকে এতদূর এসেও ফিলিপি তার অতীত ভুলে যাননি। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, ‘তখন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কোনো স্কোয়াডের অংশ ছিলাম না। রাজ্য দলে খেলার স্বপ্ন দূরে সরে যাচ্ছিল। খুব অদ্ভূত সময় ছিল তখন। আমার পকেটে ছিল ২০ পাউন্ড। ঠিকমতো লাঞ্চ করার অবস্থাও ছিল না। ওই সময়টাই আমাকে আজকের ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলেছে। সিস্টেমের অংশ হতে না পেরে, দূরে সরে গিয়ে স্রেফ নিজের জন্য নিজের খেলা নিয়ে কাজ করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমি যে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলি, ওই সময়টা থেকেই তা পেয়েছি। ওখানে আমার কাছে দলের ফলের কোনো মূল্য ছিল না। ঠিক করেছিলাম, মাঠে নামব, নিজের ঘরানার ক্রিকেট খেলব, মজা করব। আউট হলে হব। কিচ্ছু যায় আসে না। ক্রিকেটের পারফরম্যান্স দিয়ে তো কেউ মানুষ হিসেবে আমাকে বিবেচনা করবে না। এই ভাবনা নিয়ে খেলে সেখানে খুব ভালো করলাম। এরপর সেই মানসিকতাই আমার ভেতরে গেঁথে গেছে।’
আইপিএলে তিনি কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো তারকাদের সঙ্গে খেলেছেন। সেই স্মৃতি রোমান্থন করে ফিলিপি বলেন, ‘২৩ বছর বয়সী একটি ছেলের জন্য এমন ক্রিকেটারদের পাশে থাকতে পারা মানে বিশেষ কিছু। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যা শিখেছি, তারা কিভাবে খেলাটাকে সাধারণ রাখে। যদিও টি-টোয়েন্টি খুব গতিময়, তার পরও তারা বলেন, একটু গভীর শ্বাস নিতে, স্থির হতে এবং কোনো পূর্বধারণা ও পূর্বভাবনা ধরে না রেখে চনমনে থেকে পরের বলটি খেলতে। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের কাছ থেকে এমন পরামর্শ পাওয়া দারুণ প্রেরণার।