রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে

আপডেট: April 16, 2021 |

পবিত্র রমজান মাস মানুষের পাপ মোচনের অবারিত সুযোগ নিয়ে আসে। রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত অনেক মূল্যবান। মুমিনের জন্য এটি কল্যাণ ও বরকতের বসন্তকাল। রোজার পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত রমজানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল।

কোরআন অবতীর্ণের মাস : পবিত্র রমজান মাসেই আল্লাহ তাআলা পূর্ণ কোরআন লাওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ করেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ রমজানের পরিচয় ও গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে সর্বপ্রথম এই বৈশিষ্ট্যের কথাই উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত এবং সুপথপ্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশক আর সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

রোজা ও কোরআনের সুপারিশ : রমজান মাস কোরআন তেলাওয়াতের সময়। রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।। রাসুল (সা.) বলেন, ‘রোজা ও কোরআন মানুষের জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আমার রব, আমি তাকে খাবার ও প্রবৃত্তি পূরণে বাধা দিয়েছি। তাঁর ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। আর কোরআন বলবে, আমি তাঁকে রাতের বেলা ঘুমাতে বাধা দিয়েছি। অতএব তাঁর ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। অতঃপর উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং : ৬৫৮৯)

জিবরাইল (আ.)-এর কোরআন পাঠ শ্রবণ : দান করা সব সময় পূণ্যের কাজ। আর রমজানে দানের সওয়াব অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। রাসুল (সা.) সর্বদা বেশি দান করতেন। আর রমজানে দানের পরিমাণ আরো বেড়ে যেত। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। আর রমজান মাসে তা আরো বেড়ে যেত। এ সময় জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। রমজানের প্রতি রাতে জিবরাইল (আ.) মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে দেখা করতেন এবং কোরআন তেলাওয়াত শোনাতেন। এ সময় রাসুল (সা.) প্রবাহমান বাতাসের চেয়েও বেশি দান করতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৬, মুসলিম, হাদিস নং : ২৩০৮)

বৈশাখীনিউজইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর