রাশিয়া বাংলাদেশে করোনা টিকা উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: April 20, 2021 |

বাংলাদেশের স্থানীয় ফার্মাসিউটিকালগুলোর সঙ্গে মিলে করোনার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনের বিষয়ে একমত হয়েছি, … যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রস্তাব অনুযায়ী রাশিয়া টেকনোলজি হস্তান্তর করবে আর বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিকালগুলো ‘স্পুটনিক ভি’ টিকা উৎপাদন করবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে… তাহলে এটা হবে স্বল্পমূল্যের এবং এটা তুলনামূলক ভালো হবে।’

করোনার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকোর মাধ্যমে চুক্তি করে বাংলাদেশ। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদার অজুহাত তুলে ভারত সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

টিকাদান কর্মসূচি যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য অন্য উৎস থেকেও টিকা পেতে জোর চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা পাঠানোর কথা। দেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সে টিকা সরকারের কাছে পৌঁছে দেবে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে প্রথম চালানের ৫০ লাখ টিকা ঠিকমতো এলেও এরপর থেকেই টিকা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়।

বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সংকটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে মাত্র ২০ লাখ টিকা এসেছে। এর পরের চালানে আগের ৩০ লাখসহ মোট ৮০ লাখ টিকা গত ২৬ মার্চ বা তার পর আসতে পারে বলে এর আগে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই টিকা এখনো দেশে এসে পৌঁছেনি।

সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে ১ কোটি ২ লাখ। এর মধ্যে দুই দফায় ভারত সরকারের দেওয়া উপহারের ৩২ লাখ টিকা রয়েছে। সূত্র: বাসস

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর