বিয়ে না করায় বাবা-মায়ের হাতে পরিচালক খুন!
বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না ইরানি ফিল্ম পরিচালক বাবাক খোরামদিন। ৪৭ বছর বয়সী পরিচালকের এই জেদই তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল! খুন করে আবর্জনার থলিতে ফেলে দেওয়া হলো মৃতদেহ।
খুনের দায় স্বীকার করেছেন বাবাকের মা-বাবা। শুক্রবার (২১ মে) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
এর আগে পশ্চিম তেহরানের একবাতান এলাকা থেকে রোববার (১৬ মে) উদ্ধার হয় পরিচালকের টুকরা করা হয় দেহ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এটি ‘সম্মানরক্ষার্থে খুন’। বাবাকের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের দায় স্বীকার করেছেন তারা। তাদের দাবি, ছেলে অবিবাহিত থাকায় সমাজে দুর্নাম হচ্ছিল। তাই হত্যার মতো এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তেহরান আদালতের বিচারপতি মোহাম্মদ শাহরিয়ারি জানিয়েছেন, বাবাকের বাবা দোষ স্বীকার করেছেন। এছাড়াও এই দম্পতি নিজেদের মেয়ে এবং জামাইকে খুন করার কথাও স্বীকার করেছেন।
সংবাদমাধ্যমকে বাবাকের বাবা বলেন, ছেলেকে অবচেতনের ওষুধ খাইয়ে খুন করার পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে দেহ কেটে ব্যাগে ঢুকানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে অবিবাহিত। আমাদের বিরক্ত করত। একদিনও আমরা নিরাপদ অনুভব করতাম না। যা ইচ্ছা তাই করত। ওর মা ও আমি মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, সমাজে আর সম্মান হারাব না।
এ ঘটনায় কোনো আক্ষেপ নেই বলেও দাবি করেছেন অভিযুক্ত পিতা। এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আপতত জেল হেফাজতে দুই অভিযুক্ত।
‘ক্রেভাইস’ ও ‘ওথ টু ইশার’র মতো স্বপ্নদৈর্ঘ্যের ছবি পরিচালনা করেছেন প্রয়াত পরিচালক। ২০০৯ সালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিনেমায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন বাবাক। পরবর্তীকালে লন্ডনেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন তিনি।
বৈশাখী নিউজ/ বিসি