ভারতে নারী পাচার, চলার পথে ও গণধর্ষণের শিকার নারীরা
অবৈধ পথে ঢাকা থেকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে পাচারের সময় নারীদের আটবার হাতবদল করা হয়। কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা পায়ে হেঁটে, কখনো মোটরসাইকেলে করে, আবার কখনো ঝোপ-জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে, বড় রাস্তায় উঠে গাড়িতে করে এবং সর্বশেষ আকাশপথে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুতে। দুই দিনের এই চলার পথে অন্তত তিনবার গণধর্ষণের শিকার হতে হয় এই তরুণী কিশোরীদের। ওই সময়েই চক্রের সদস্যরা ভিডিও করে রেখে দেয়। নির্যাতিত নারীরা প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখানো ছাড়াও ভিডিও নেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর পাচার করে নিয়ে যাওয়া নারীদের বেঙ্গালুরুর বাসা বাড়িতে আটকে রাখা হয়। এখান থেকেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং কেরালার বিভিন্ন হোটেলে। এসব হোটেলে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। সেখানে এক দিনে ৩০ জনের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয় তাদের। এ অবস্থায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন-যাপনও করছেন অনেকেই। বাংলাদেশে ফিরে আসা তরুণী প্রথম দিনেই ১৯ জনের সঙ্গে যৌন কর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়। এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
টিকটকারদের নারী পাচারকান্ডের পুলিশি তদন্তে এমন সব ভয়ঙ্কর তথ্য বেরিয়ে আসার পর পুলিশ প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। পুলিশ বলছে, টিকটক স্টার বানানো এবং বিভিন্ন সুপারশপে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক হাজার কিশোরী তরুণীকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এই ভয়ঙ্কর পাচারচক্রের সাতজন ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার হয়েছে ছয়জন।
নিউজ/ বিসি