ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ: ওয়েলস-সুইজারল্যান্ড ম্যাচ ড্র

আপডেট: June 12, 2021 |

উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ম্যাচে গ্রুপ এ’র ওয়েলস এবং সুইজারল্যান্ড মুখোমুখি।

গোটা ম্যাচ জুড়ে ওয়েলসের ওপর ছড়িয়ে ঘোরালেও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সুইজারল্যান্ডকে। সুইসরা ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে ২-১ গোলের লিড নিলেও রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে দেখেন গোল করার আগে গ্যাভ্রানোভিচ অফসাইডে ছিলেন। আর তাতেই সুইসদের জয় হাতছাড়া।

ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যতে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জার্দান শাকিরির অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে সুইসদের লিড এনে দেন ব্রেল এম্বোলো। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে ওয়েলসকে সমতায় ফেরান কাইফার মুর।

শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। আর দুই দলই একটি করে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

আজারাবাইজানের বাকুতে ইউরোর দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি ওয়েলস এবং সুইজারল্যান্ড। গোটা ম্যাচ জুড়েই ওয়েলসের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে সুইসরা। ম্যাচের ৬৪ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে সাজানো আক্রমণে ১৮টি শট ওয়েলসের গোলবরাবর নিয়েছে সুইসরা। বিপরীতে ওয়েলসের শটের সংখ্যা মাত্র ৯টি।

ম্যাচে প্রথম বড় সুযোগ তৈরি করে ওয়েলস। ১৫তম মিনিটে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল জেমস বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়ে দারুণ এক ক্রস বাড়ান সুইজারল্যান্ডের ডি-বক্সে।

জেমসের ক্রস থেকে বল পেয়ে হেডে বল জালের দিকেই ঠেলে দিয়েছিলেন কাইফার মুর। তবে তাঁর হেড কোনো রকমে হাত দিয়ে কর্নারের বিনিময়য়ে ফেরান সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সুমার।

এর মিনিট পাঁচেক পর জার্দান শাকিরির দুর্দান্ত এক বল পেয়ে ওয়েলসের ডি-বক্সের ভেতর থেকে গোল বরাবর শট নেন সুইস ডিফেন্ডার স্কার। তবে দ্রুততার সঙ্গে বিপদ বুঝতে পেরে বল বিপদমুক্ত করেন ওয়েলস গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড। এরপর প্রথমার্ধে দুই দলই আরও বেশকিছু সুযোগ তৈরি করলেও আর গোলের দেখা মেলেনি।

বিরতির পর ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে জার্দান শাকিরি ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ওয়েলসের ডি-বক্সের আশেপাশে। সেখান থেকে কনর রবার্টসকে বোকা বানিয়ে দারুণ এক ক্রস করেন ডি-বক্সের ভেতর। শাকিরির এমন ক্রস থেকে বল পেয়ে ওয়ার্ডকে পরাস্থ করে বল জালে জড়ান ব্রেল এম্বোলো। আর সুইসরা লিড নেয় ১-০ গোলের।

এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় সুইসরা। তবে কিছুতেই ওয়েলসের রক্ষণের ফাটল খুঁজে বের করতে পারছিল না শাকিরিরা। ৬৫তম মিনিটে গোলের খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল সুইসরা।

শাকিরির দুর্দান্ত পাস থেকে বল পেয়ে ডান দিকের পোস্টের দিকে নিচু করে শটও নিয়েছিলেন এম্বোলো। তবে ওয়ার্ডের প্রচেষ্টায় এবার ব্যর্থ তাঁর চেষ্টা।

৭৪তম মিনিটে জেমসের নেওয়া ছোট কর্নার থেকে অ্যালেন বল পেয়ে তা বাড়িয়ে দেন মোররেলের উদ্দেশ্যে। মোরেল বল পেয়ে তা বাড়িয়ে দেন কাইফার মুরেলের দিকে। এমন দুর্দান্ত এক বল পেয়ে এক চুল ভুল করেননি মুর। বল জালে জড়িয়ে ওয়েলসকে সমতায় ফেরান ১-১ গোলে।

এরপর একের পর এক আক্রমণে ওয়েলসের রক্ষণকে ছিন্ন ভিন্ন করতে থাকে সুইসরা। আর গোলও পেয়েছিল ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে তবে তা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। ওয়েলসের ডি-বক্সের ছয় গজের ভেতর বল পেয়ে তা দুর্দান্ত ভাবে জালে জড়ান বদলি হিসেবে মাঠে নামা মারিও গ্যাভ্রানোভিচ।

রেফারি প্রথম সুযোগে গোলের বাঁশি দিলেও ভিএআরের মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত হতেই চেয়েছিলেন। আর সেখানেই কপাল পুড়ল সুইসদের। গোলকরার আগে সামান্য দূরত্বের জন্য অফসাইড পজিশনে ছিলেন গ্যাভ্রানোভিচ।

শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি। গ্রুপ-এ’র অপর ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছিল ইতালি।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর