টাঙ্গাইলে এবারের কোরবানির সেরা পশু শাকিব খান ও ডিপজল
কঠোর লডকাউনের কারণে ‘শাকিব খান’ ও ‘ডিপজল’ এর বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন টাঙ্গাইলের বাসাইলের তরুণ খামারি কলেজ ছাত্র জোবায়ের ইসলাম জিসান। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জিসানের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
জিসান বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। জিসানের দাবী, এবারের কোরবানির পশু হিসাবে তার ‘শাকিব খান’ ও ‘ডিপজল’ বাসাইলে সেরা।
জিসান জানান, ২০১৭ সালের শেষের দিকে তিনি ৩টি গাভী দিয়ে খামারটি শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ২৫টি ষাঁড় ও গাভী রয়েছে। এদের মধ্যে ৬টি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। ‘শাকিব খান’ ও ‘ডিপজল’ তার খামারের সবচেয়ে বড় ষাঁড়। ‘শাকিব খান’ শান্ত প্রকৃতির। গায়ের রং সাদা। ‘ডিপজল’ একটু দুষ্ট প্রকৃতির। গায়ের রং কালো। দুটি ষাড়ই লম্বায় সাত ফিট। ওজন প্রায় ৩১ মণ। দু’টিই ফ্রিজিয়াম জাতের গরু।
জিসানের অবর্তমানে বাবা শফিকুল ইসলাম খামারটি দেখাশোনা করেন। এছাড়াও খামারে একজন কর্মচারি রয়েছে।
জিসান ‘ডিপজল’ এর দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা
জিসান জানান, দুই বছর সাত মাস আগে তার খামারে ‘শাকিব খান’ এর জন্ম। এরপর দিন ‘ডিপজল’ এর জন্ম। এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তাদের প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের কোনও ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। ষাঁড় দুটিকে নামের কারণে দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ভিড় করছেন। মাঝে মধ্যে ক্রেতারাও ষাঁড় কিনতে আসছেন।
জিসান ‘শাকিব খান’ এর দাম হাঁকছেন ১৩ লাখ ও ‘ডিপজল’ এর দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা। এবার কোরবানির ঈদে শাকিব খানই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সেরা গরু বলে দাবি করেন জিসান।
জিসান বলেন, ‘শাকিব খান ও ডিপজলকে খুব যত্ন ও কষ্ট করে বড় করেছি। তাকে দেখতে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন আসছে। অনেক পাইকার ও খুচরা ক্রেতাও আসছে। তারপরও কঠোর লকডাউনের কারণে ওদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঈদের আগে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রৌশনী আকতার বলেন, ‘ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে উপজেলায় কয়টি কোরবানির পশুর হাট বসবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অনলাইনে গরুর হাট করার পরিকল্পনা রয়েছে। কোরবানির জন্য উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খামারিরা সঠিক দামই পাবে বলে তিনি আশা করেন।