গ্রিসে ভয়াবহ দাবানল, পালাচ্ছে মানুষ

আপডেট: August 9, 2021 |

গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরেই গ্রিসে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে বাড়ি ঘর। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের শত শত কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজধানী এথেন্সের নিকটবর্তী ইভিয়া দ্বীপে সৃষ্টি এ দাবানলে আতঙ্কিত পর্যটকসহ শত শত স্থানীয় লোক ঘর বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।

গত দু’সপ্তাহ ধরেই গ্রিস এবং তুরস্ক দাবানল নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের বৈরী আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে দাবানলে গ্রিসে দুইজন এবং প্রতিবেশী তুরস্কে আটজন মারা গেছে। আরো বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ ইভিয়ার আকাশ রোববার দাবানলের ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে কমলা রঙ ধারণ করে। সূর্যের আলো আটকে যায়। গত কয়েক দিনের দাবানল প্রাচীন বনগুলিকে গ্রাস করে ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের গ্রামে।

গত ৩ আগস্ট শুরু হওয়া ওই দাবানল ইভিয়ার বনভূমি, পর্বত এবং গিরিখাতগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে যায় অসংখ্য বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় হাজার হাজার বাসিন্দা এবং পর্যটক নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য হয়।

এদিকে ইভিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে শত শত দমকল কর্মী। তাদের সহায়তায় ইউক্রেন ও রোমানিয়া থেকে এগিয়ে এসেছে ২শ’রও বেশি কর্মী।

ইউরোপীয়ান ফরেস্ট ফায়ার ইনফরমেশন সিস্টেম বলছে, গত ১০ দিনে গ্রিসের ৫৬ হাজার ৬৫৫ হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে। আগুন জ্বলছে ১৫৪টি এলাকায়।

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে গ্রিস ইউরোপীয়ান ইমার্জেন্সি সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে সহায়তা চেয়েছে।

এদিকে ভয়াবহ এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে একটি উদ্ধারকারী বিমান বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। রোববার জাকিনথস দ্বীপে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। কি কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে পাইলট জীবিত রয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর