স্যামসন এইচ চৌধুরীর জন্মদিন

আপডেট: September 25, 2021 |
print news

স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর ৯৬তম জন্মদিন ২৫ সেপ্টেম্বর। দেশের শীর্ষস্থানীয় এ শিল্পোদ্যোক্তা ১৯২৫ সালের এদিনে বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে ৮৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পাবনা শহরের উপকণ্ঠ বৈকুণ্ঠপুরের বাসভবন এস্ট্রাসে সমাহিত করা হয়।

দেশের শিল্প খাতের এই অগ্রনায়ক তার পেশাজীবন শুরু করেছিলেন ওষুধের দোকান দিয়ে। এর পর তিনি ১৯৫৮ সালে আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন স্কয়ার ফার্মা। সেই কারখানা আজ পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানে, যা এখন বিশ্বব্যাপী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নামে পরিচিত। তিনি শুধু ওষুধ ব্যবসায় আটকে থাকেননি। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই মানুষটি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক এক করে বস্ত্র, ভোগ্যপণ্য, প্রসাধন, হাসপাতাল, কৃষিপণ্য, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। স্কয়ার বর্তমানে বাংলাদেশে প্রধানতম শিল্প গ্রুপ।

নিজের ব্যবসায় মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি পুরো ব্যবসা খাতের উন্নয়নে কাজ করেছেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তিনি বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকে শিল্প-বাণিজ্য খাতের সমস্যা সমাধান ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ছিলেন। ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক, আসিসিবির সহসভাপতি, ফ্রান্স বাংলাদেশ চেম্বারের সদস্য, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি এজেন্সি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া সামাজিক কাজেও তিনি ছিলেন অগ্রণী। টিআইবির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, মাইডাসের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

স্যামসন এইচ চৌধুরীর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে স্যামুয়েল এস চৌধুরী (স্বপন চৌধুরী) বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান, মেজ ছেলে তপন চৌধুরী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ছোট ছেলে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু মাছরাঙা টেলিভিশন, স্কয়ার টয়লেট্রিজ, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একমাত্র মেয়ে রত্না পাত্র স্কয়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।

তিনি ২০১৬ সালে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি আমেরিকান চেম্বারের পক্ষ থেকে বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দ্য ইয়ার এবং ২০০৭ ও ২০০৮ সালে দেশের সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৯ ও ২০১০ সালে সিআইপি মনোনীত হন।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর