‘প্রতিদিন ডিম খাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই’

আপডেট: October 8, 2021 |
print news

‘প্রতিদিন ডিম খাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮ অক্টোবর, শুক্রবার পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’। ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ডিম উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করাই এ দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্সেস অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ডিম দিবস পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বিপিআইসিসি জানিয়েছে, ডিম দিবস উপলক্ষে সেমিনার, ডিমের পুষ্টিগুণ জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, এতিমখানায় ডিম বিতরণ, সারাদেশে পোস্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষামূলক লিফলেট বিতরণ করা হবে।

১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক এগ কমিশনের কনফারেন্সে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৫৭৪.২৪ কোটি এবং ২০১৯-২০ সালে এ পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭৩৬ কোটিতে। অর্থাৎ গত দশ বছরে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রতি বছরে ১০৪ টি ডিম হারে বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১০৪.২৩টি। বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

বর্তমানে দেশে অসংখ্য বাণিজ্যিক লেয়ার খামার, ককরেল খামার, প্যারেন্ট স্টক ও গ্রান্ড প্যারেন্টস্টক খামার, হ্যাচারি, ফিড মিল ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। পোল্ট্রি শিল্পের উৎপাদিত মূল পণ্য ডিমের বাজার নিশ্চিতকরণের জন্য সচেতন ভোক্তাশ্রেণি প্রয়োজন।

পুষ্টিবিদরা জানান, ডিম এমন একটি প্রাকৃতিক খাদ্য যা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। পরিবারের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি ডিম রাখা উচিত।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর