পিকে হালদার ফের ১৫ দিনের জেল হেফাজতে

আপডেট: July 5, 2022 |
print news

১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে আবারো মঙ্গলবার সকালে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় পি কে হালদারসহ অভিযুক্ত ছয়জনকে। সেখানে তাদেরকে আরও ১৫ দিনের জন্য জেলহাজতে পাঠিয়েছেন কলকাতার স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩। ১১ টার দিকে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন বিচারক জীবন কুমার সাধু।

এর আগে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার দিনের শুরুতে তাদের আদালতে তোলা হবে। সেখানে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।

বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোট টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেপ্তার করে তাদের।

গত ২১ জুন গ্রেপ্তারকৃত সকলকে বিশেষ সিবিআই কোর্ট-৩ এ তোলা হয়। সেখানে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ০৫ জুলাই জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের তাদের আদালতে তোলা হয়।

গত ১৪ মে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে। ইতিমধ্যেই পিকে হালদারসহ গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনের বিরুদ্ধেই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা অর্থপাচার সম্পর্কিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আদালত এর মধ্যে অভিযুক্তদের কয়েক দফায় ইডি রিমান্ড এবং জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে তারা সকলেই কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তাদের জেরা করে এরই মধ্যে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক শহরে মিলেছে প্রচুর সম্পত্তির হদিস। সেইসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তারা ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। আরো তথ্য বের করার জন্য কারাগারে গিয়েও অভিযুক্তদের জেরা করছেন ইডির কর্মকর্তারা।

অপরদিকে মামলায় পিকে হালদারের অন্যতম সহযোগী স্বপন মৈত্রের স্ত্রী পূর্ণিমা মৈত্রকে জেরা করেছে ইডির কর্মকর্তারা।
গত বুধবার ইডির পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জেরা করা হয় বাংলাদেশের দুদকের এজহারভুক্ত আসামি পূর্ণিমা মৈত্রকে।

তার পাসপোর্ট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ইনকাম ট্যাক্স, ব্যাংকের পাস বই সম্পর্কিত নথি এবং বারাসাতে থাকা তাদের একটি ফ্ল্যাটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ একাধিক নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পিকে হালদারের বিরুদ্ধে আনা অর্থপাচারের অভিযোগের পূর্ণিমার কোনো রকম যোগসাজেশ আছে কিনা, যদি থেকে থাকে তাহলে সেগুলো কোন পর্যায়ের, পূর্ণিমার নাগরিকত্ব ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখতে চায় ইডি কর্মকর্তারা। আগামী ৬ জুলাই তাকে ফের ইডির দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

পূর্ণিমার পাশাপাশি অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলায় ইডির কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হয়েছেন পিকে হালদারের আরেক সহযোগী সুকুমার মৃধার বড় মেয়ে অতসী মৃধা এবং তার স্বামী সঞ্জীব হাওলাদার। গত সপ্তাহে তাদেরকেও আলাদাভাবে জেরা করেছে ইডি কর্মকর্তারা।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর