মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ, ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

আপডেট: July 18, 2024 |
inbound3117141783460856479
print news

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে রাজধানীর মহাখালী ও নাখালপাড়া এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষাথীরা।

এতে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১২টার পর থেকে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মহাখালী ও নাখালপাড়া এলাকায় ট্রেন চলার পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। এতে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটাবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।

এ কর্মসূচির কারণে সকাল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। তাতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ।

এদিকে রাজধানীর শনির আখড়া ও মাতুয়াইলে সড়ক অবরোধ করে রাখায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল ব্ন্ধ রয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। উত্তরা, মিরপুর, মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ‌‌‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেশ সহিংস রূপ নেয়। এদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন মারা যান। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

এ অবস্থায় মঙ্গলবারই সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকেই আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সেই আন্দোলন এখনো চলছে। আজ বুধবারও ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর