নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলার পর সমাবেশ মঞ্চে এনসিপি নেতারা

আপডেট: July 16, 2025 |
inbound1791817916167909612
print news

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে হামলার পরও সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার পরই মঞ্চে অবস্থান নেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ শীর্ষ নেতারা।

বক্তব্য দেয়ার সময় নেতারা হামলার নিন্দা জানান এবং মঞ্চ থেকে “মুজিববাদ মুর্দাবাদ” স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন। এ সময় নেতাকর্মীরা বলেন, কোনো হামলা বা ভয়ভীতি তাদের আন্দোলন থামাতে পারবে না।

মঞ্চে অবস্থান নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “গোপালগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে আমরা বলছি—মুজিববাদ মুর্দাবাদ।”

এর আগে সমাবেশস্থলে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার-মাইক ভাঙচুর করে এবং এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল থেকেই এনসিপির পদযাত্রা ঠেকাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের গান্ধিয়াশুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসানের গাড়িবহরে হামলা হয়।

এর কিছু সময় পর সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টির মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।

এই কর্মসূচি বানচালের জন্য নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একটি গাড়িতে আগুন দেয় এবং ইউএনওর গাড়িবহরে ভাঙচুর চালায়।”

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর