মালদ্বীপ থেকে রেমিটেন্স পাঠানোয় শীর্ষে বাংলাদেশিরা

আপডেট: September 25, 2025 |
inbound576315797733856137
print news

মালদ্বীপ থেকে রেমিটেন্স প্রেরণে একক আধিপত্য বজায় রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘মালদ্বীপ মনিটারি অথরিটি’ (এমএমএ) প্রকাশিত সর্বশেষ বাৎসরিক প্রতিবেদন ‘পেমেন্ট বুলেটিন–২০২৪’–এ এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা মালদ্বীপ থেকে দেশে পাঠিয়েছেন ১১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, যা দেশটির মোট বহির্বিশ্ব রেমিটেন্স লেনদেনের প্রায় ৭২ শতাংশ। ২০২৩ সালের তুলনায় এ খাতে প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

মালদ্বীপে কর্মরত বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা সর্বমোট প্রায় ১৪৪ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষে। তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে নেপাল (৫%), মিশর (৪%), ফিলিপাইন (৪%) এবং ভারত (২%)।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মালদ্বীপের মোট বহির্মুখী রেমিটেন্স লেনদেন ২০২৪ সালে দাঁড়ায় ১৫৫.৫ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১২১ শতাংশ বেশি। দেশটির অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স আয় মাত্র ৮ শতাংশ, বাকি ৯২ শতাংশই এসেছে বিদেশি কর্মীদের মাধ্যমে।

মালদ্বীপে লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত। তবে একটি বড় অংশ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই কাজ করছেন। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও তারা বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন।

বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সভাপতি মো. খলিলুর রহমান বলেন, “দেশে গণঅভ্যুত্থানের পর প্রবাসীরা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বৈধ চ্যানেলেই টাকা পাঠাবেন। এখনও তারা সেই প্রতিশ্রুতিতে অটল।”

এনবিএল মানি ট্রান্সফারের প্রধান নির্বাহী মাসুদুর রহমান জানান, মোট প্রেরিত অর্থের ৫৬ শতাংশ বাংলাদেশিরা এনবিএলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। নতুন কর্মীর আগমন ও ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফিরে আসায় রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।

শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ বলেন, “প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন।”

প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় মালদ্বীপের সঙ্গে জোরালো কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় রেমিটেন্স পাঠানোর ব্যবস্থা করা গেলে এই প্রবাহ আরও স্থায়ী ও শক্তিশালী হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর