ঢাকার খিলক্ষেতে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু

আপডেট: October 9, 2020 |
print news

ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রোফিকা রুমা ইতি (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে ।

আজ শুক্রবার ভোরে নিকুঞ্জ-২ জামতলা টানপাড়া এলাকার একটি দোতলা ভবনের নিচতলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে ।

দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন ।

রোফিকা রুমা ইতির স্বামী মো. জামাল হোসেন দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
অন্যদিকে, ইতির বড় ভাই একটি টেলিভিশনের স্পোর্টস ডেস্ক ইনচার্জ হুমায়ুন কবির রোজ বলছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না, তাঁর বোন আত্মহত্যা করেছেন।

জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গণকপাড়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে রোফিকা রুমা ইতি। স্বামী মো. জামাল হোসেন ও ছেলে এহসান হোসেন ইজাজকে (৪) সঙ্গে নিয়ে তিনি নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সাড়ে পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। আগে চাকরি করলেও বর্তমানে বেকার ছিলেন ইতি। জামাল একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।

খিলক্ষেত থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আজ শুক্রবার ভোরে ইতিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সন্তানকে কেন্দ্র করে রুমা আর তাঁর স্বামী জামালের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রুমা ব্যাগপত্র নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যেতে চান। তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি বুঝিয়ে তাঁকে বাসায় রাখে। তারপর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।’ইতির স্বামী জামালের বাড়ির লোকজনের ভাষ্য হচ্ছে, তারা ঘুমিয়ে পড়ার পর ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে ইতি ঘরের বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন। টের পেয়ে তাঁর স্বামী-শাশুড়ি বারান্দায় এসে রুমাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখান থেকে তাঁকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আমরা সব ধরনের বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করে দেখব।’

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনকারী খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস ছামাদ বলেন, মৃতদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তবে ইতির বড়ভাই সাংবাদিক হুমায়ুন কবির রোজ বলেন, ‘আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে আমার বোন না। সে মানসিকভাবে খুবই শক্ত ছিল। স্বামীর বাড়ির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে বারান্দায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ হাঁটু গেড়ে ফ্লোরে বসা ছিল। তাদের পারিবারিক কিছু সমস্যা হচ্ছিল। সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না সে আত্মহত্যা করেছে। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে।’

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর