চীনে করোনা: সন্দেহভাজনদের রাখা হচ্ছে ধাতব বাক্সে
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় চীন সরকার শুরু থেকেই জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো এলাকায় করোনা শনাক্ত হলেই দেশটি সেখানে ড্রাকোনিয়ান (কঠোর) বিধিনিষেধ আরোপ করে।
সামনের মাসেই দেশটি শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজন করতে যাওয়া সত্ত্বেও করোনাবিষয়ক কঠোর অবস্থান বহাল রেখেছে দেশটি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এসেছে এমন সন্দেহে দেশটি লাখ লাখ মানুষকে কোয়ারেন্টিন করেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটির পর একটি ধাতব বাক্সের তৈরি ছোট ছোট ঘরে কোভিড-১৯ সন্দেহের রোগীদের রাখা হচ্ছে। এই ধাতব বাক্সগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি বাক্সেই বিছানা ও ওয়াশরুম রয়েছে।
অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ধাতব ঘরগুলো একটির পর একটি সারিবদ্ধভাবে রয়েছে। এ রকম দৃশ্য সাধারণত সায়েন্স ফিকশন কিংবা ডায়স্টোপিয়ান জনরার সিনেমাগুলোতে দেখা যায়।
চীনের করোনা ট্রেস অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বের করা যায়। ফলে সহজেই তাদের কোয়ারেন্টিনে আনা সম্ভব হয়।
যদি কোনো এলাকায় একজন ব্যক্তিও করোনা সংক্রমিত হয়। সেই এলাকার সবাইকেই কোয়ারেন্টিনে আসার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি সন্তানসম্ভবা নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদেরও এসব ছোট ছোট ধাতব বাক্সে দুই সপ্তাহের জন্য থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।
কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা জানায়, মধ্যরাতে তাদের জানানো হয়েছে, এখনই তাদের ঘর ছাড়তে হবে ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতে হবে।
এ ছাড়া বর্তমানে প্রায় ২ কোটি মানুষকে বাড়িতে অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা এমনকি খাবার কিনতেও বাসার বাইরে যেতে পারবে না।