আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে: রাষ্ট্রপতি

আপডেট: February 10, 2022 |

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ১০ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৪২তম জাতীয় সমাবেশ-২০২২’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪২তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে আইন-শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযু্দ্েধ এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় অবদান। ভাষা শহিদ আব্দুল জব্বার ছিলেন এ বাহিনীর একজন প্লাটুন কমান্ডার। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার ছিল আনসার বাহিনীর ৪০ হাজার থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অভ অনার’ প্রদান করেন আনসারের ১২ জন অকুতোভয় বীর সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ৬৭০ জন বীর সদস্য জীবন উৎসর্গ করেন।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মত্যাগকারী বীর আনসার সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৬১ লাখ সদস্য দেশের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

সারা দেশেই অর্থনীতির চালিকাশক্তি কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে আনসার সদগস্যগণ কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার সাথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।

নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এ বাহিনী যুব ও নারীদেরকে বিভিন্ন পেশায় বিনামূল্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারি মোকাবিলায় শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থেকে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যগণ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ভবিষ্যতেও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ শৃংখলা ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বাক্ষর রাখবে।

তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪২তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর