গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে আগুন : মৃত্যু বেড়ে ৬

আপডেট: September 8, 2022 |

ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার জিনজিরা মান্দাইল এলাকায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ মো. ইয়াসিন (১২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় দগ্ধ ৬ জনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় ইয়াসিন।

হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে আজ সকালে ইয়াসিন নামে এক শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দগ্ধ ছয়জনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বেঁচে রইলেন না কেউ।

এর আগে মৃত অন্য পাঁচজন হলেন- মরিয়ম (৮), শাহাদাত হোসেন (২৫), বেগম (৬০), ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬)।

মৃত ইয়াছিনের বাবার নাম আব্দুর রশিদ। তিনি পেশায় রিকশাচালক। ইয়াছিনের আরেক ভাই রয়েছে। আর্থিক অনটনের সংসারে সন্তান দগ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসা খরচ টানতে হিমশিম অবস্থা রশিদের। তবে শতচেষ্টায়ও সন্তানকে বাঁচাতে পারলেন না রিকশাচালক আব্দুর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘আমি রিকশা চালিয়ে খাই। অনেক কষ্টে ছেলে দুটোকে বড় করছি। ও (ইয়াছিন) আজকে আমাদের রেখে চলে গেলো। পুড়ে যাওয়ার পর অনেক পয়সা খরচ হয়েছে। তবুও সন্তানটাকে বাঁচাতে পারলাম না।’

এসময় ইয়াছিনের পরিবার ও ইদুনী বেগমের স্বামী মোক্তার হোসেন জানান, এ ঘটনায় তারা চরম আর্থিক অনটনে পড়েছেন। সরকারি বা ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ তাদের সহায়তা করলে তারা কৃতজ্ঞ থাকবেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর