কুলখানিতে হাজারো মানুষের আহার জোগাবে ভোলা


ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর প্রতিনিধি: বিশাল আকৃতির দেখতে সুন্দর সাদা লম্বা গরুটির নাম আদর করে রেখেছে ভোলা দীর্ঘ চার বছর বাড়িতে লালন পালন করে কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয় ভুলাকে।
দামহাকা হয় ৭ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকাতে কিন্তু ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় ফিরে আনা হয় বাড়িতে। অবশেষে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হয় ভোলাকে।
ভোলা থাকেন নাটোরের গুরুদাসপুর নাজিরপুর ইউনিয়ন ঠাকুরপাড়া গ্রামে।
মোহাম্মদ শামসুল ইসলামের ছেলে হাফিজুল ইসলাম চার বছর বাড়িতে লালন পালন করেন এবং মনে মনে স্বপ্ন বুনতে থাকেন ভোলাকে নিয়ে অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ভোলাকে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে সক্ষম হন হাফিজুল ইসলাম।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় গরুটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে লালন পালন করেন হাফিজুল ও তার পরিবার।
তারপর গরুটির ন্যায্যমূল্য পাবার আশায় ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয় ভোলাকে কিন্তু ন্যায্য মূল্য বিক্রি করতে না পারায় আবার ফিরে আসে নিজ বাড়িতে পরিশেষে নিজ এলাকাতেই ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে সক্ষম হন হাফিজুল।
পাঁচ লাখ টাকায় ভোলাকে কিনে হাফিজুল ও তার পরিবারের মুখে হাসি ফোটান গুরুদাসপুর ১ নং নাজিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী প্রামানিক।
চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী প্রামানিক জানান দীর্ঘদিন হলে গরুটিকে নিয়ে হাফিজুলের পরিবার হতাশায় ভুগছিলেন তাই আমি আমার পরিবারের পরামর্শে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গরুটি তার ন্যায্য মূল্যে কিনে নিতে সক্ষম হই।
তিনি আরো জানান আগামী ৮ই মার্চ আমার বাবা মরহুম আলহাজ্ব খলিলুর প্রামানিকের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার লোকের মেহমানদারীর আয়োজন করা হয়েছে আর ভোলাকে দিয়েই মেহমানদারী করানো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ভোলাকে বিক্রি করতে পেরে হাফিজুল এর বাবা শামসুল ইসলাম জানান আমরা অত্যন্ত খুশি ন্যায্য মূল্য পেয়ে এবং চেয়ারম্যান সাহেব ও তার বাবার জন্য দোয়া করি।