স্পেনের পর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড

আপডেট: May 29, 2024 |

স্পেনের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে। ইউরোপের এ তিন দেশ বলেছে, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এসব দেশের নেতাদের বিশ্বাস, তাদের এ সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্যান্য দেশকেও একই পথে হাঁটতে উদ্বুদ্ধ করবে। খবর রয়টার্স।

আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ২২ মে প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা ২৮ মে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গতকাল ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় তারা।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ মনে করেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই হলো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির একমাত্র পথ। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে গাজা ও পশ্চিম তীরের সম্মিলিত একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্পেন স্বীকৃতি দিচ্ছে, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।’

আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ার শেষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলাম। তবে এখন আমরা স্পেন ও নরওয়ের সঙ্গে স্বীকৃতি দিয়ে দিলাম।’

নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইদে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘৩০ বছরের বেশি সময় ধরে নরওয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সোচ্চার।

আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘটনা নরওয়ে-ফিলিস্তিন সম্পর্কে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল জানান, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৪৩টি দেশ এর আগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তিন দেশ স্বীকৃতি দেয়ায় সেই সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৬।

২৭ সদস্যের ইইউ জোটের আট দেশ এর আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। এ তালিকায় রয়েছে সুইডেন, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র।

ইইউর আরেক দেশ স্লোভেনিয়ার আগামীকাল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা রয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মাল্টাও।

যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা ভাবছে। ইইউ সদস্য ফ্রান্স বলেছে, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার উপযুক্ত সময় এটা নয়।’

অন্যদিকে ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি বলছে, ‘দ্বিরাষ্ট্রের সমাধান কেবল সংলাপের মাধ্যমেই সম্ভব।’

পশ্চিম তীরের শাসনক্ষমতায় থাকা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ইউরোপের তিন দেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। নরওয়েতে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ পদক্ষেপ যুদ্ধ ও দখলদারিত্ব অবসানে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’

আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেনের সমালোচনা করে ইসরায়েল বলেছে, তাদের এ স্বীকৃতি হামাসের হাতকে আরো শক্তিশালী করবে, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদে ইসরায়েল এরই মধ্যে মাদ্রিদ, অসলো ও ডাবলিন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর