অধ্যাপক সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগের তদন্তে দুদক
কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তার এ বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী, অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
অধ্যাপক সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধে এক ঠিকাদারের সোনালী ব্যাংকের আমানত রূপালী ব্যাংকে স্থানান্তরে প্রতি কোটিতে ৫০ হাজার টাকা আদায়, গাড়ির জ্বালানির জন্য বরাদ্দ সরকারি তহবিল আত্মসাৎ এবং অবৈধ অর্থে শেরপুরে জমি কিনে ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ পেয়েছে দুদক।
তার মালিকানাধীন ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি টয়োটা প্রাডো জিপ ও ৮৪ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগনের খোঁজ পাওয়া গেছে।
তার আরও ৪ একর পৈতৃক জমি, রাজউকের বরাদ্দ করা ৩ কাঠা প্লট, ১৪ গণ্ডা অকৃষি জমি, ৪ কাঠা প্লট এবং চকবাজার সুপার মার্কেটে একটি দোকান। তার স্ত্রী ঢাকার কাফরুলে একটি পাঁচতলা বাড়ি এবং ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের মালিক।
উল্লেখ্য, ড. সৌমিত্র শেখর দে এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নজরুল গবেষণা কেন্দ্র’-এর পরিচালক ও ‘নজরুল -অধ্যাপক’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিপ্রাপ্ত সৌমিত্র শেখর দে মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমে যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সাহিত্য ও শিল্পানুরাগী। অধ্যাপনার পাশাপাশি লেখালেখি ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনার জন্য পরিচিতি ও খ্যাতি রয়েছে তার।