ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ঢল

আপডেট: April 2, 2025 |
inbound7177617187331533998
print news

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভের ইনানী পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত পর্যন্ত পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল, গেস্ট হাউসও এখন ভরে গেছে পর্যটকে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের টানা ছুটি কাজে লাগিয়ে ভ্রমণপিপাসু নাগরিকেরা বরাবরের মতোই কক্সবাজারকে বেছে নিয়েছেন। সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি বিনোদনকেন্দ্রগুলোয় পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটকরা বলেন, ‌“সারা বছর ব্যস্ত থাকি, তাই ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি।” ফরিদপুর থেকে আসা পর্যটক প্রিন্স বলেন, “প্রতি বছর একবার হলেও কক্সবাজার আসার চেষ্টা করি, সমুদ্রের সৌন্দর্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর।”

সৈকতে আসা অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে মেতে উঠেছেন, কেউ পানিতে সাঁতার কাটছেন, আবার কেউ জেট স্কি চড়ে উত্তাল ঢেউ উপভোগ করছেন। সৈকতের বালিয়াড়িতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, তারকা মানের বেশিরভাগ হোটেল আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেলের ভাড়া বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সমুদ্রস্নানের নিরাপত্তায় সী-সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার ২৭ জন সদস্য সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলী ও লাবণী পয়েন্টে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ।

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পুরো পর্যটন এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে পর্যটকেরা নিরাপদে ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফিরতে পারেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর