অভিযানকালে যুবদল নেতার নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ৩

আপডেট: April 9, 2025 |
inbound1000478107913300458
print news

শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় অপহৃত ট্রাক চালককে উদ্ধার অভিযানের সময় পুলিশ সদস্যদের ওপর যুবদল নেতা নূর আলম মন্ডল (সুইট) এর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পুলিশ সুইটসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন ধাওয়াপাড়া এলাকায় পুলিশের ওপর এ হামলা করা হয়।

হামলায় বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই ফিরোজ ও কনস্টেবল মাহবুব গুরুতর অহত হয়েছেন।

তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে কলেজ (সজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া বগুড়া পৌরসভার ২০,নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূর আলম মন্ডল (সুইট) ও তাঁর দুই সহযোগীকে আজ বুধবার (০৯ এপ্রিল) ভোরে সেনাতলা উপজেলরা যমুনা নদীর দুর্গম চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত নূর আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক নাজমুল হক বলেন, সারিয়াকান্দি থেকে বালু সরবরহ করতে আসা একটি ট্রাক থামিয়ে চালককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেন নূুর আলম ও তাঁর সহযোগীরা।

এরপর তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ট্রাকটি ধাওয়াপাড়া এলাকায় রাখা হয়।পরে বালু নামিয়ে ট্রাকটি খালি অবস্থায় একটি স মেলের পাশে রাখা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রাক ছিনতাই ও মুক্তিপণের অভিযোগ পেয়ে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাকটি উদ্ধার করে।

ট্রাক উদ্ধারের সময় অপহরণকারী দলের সদস্যরা ট্রাকের চাবি ও চালককে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এসময় পুলিশ ধাওয়া করলে নূর আলমের নেতৃত্ব একদল লোক পুলিশের ওপর হামলা করে।

তাঁদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে এটিএসআই ফিরোজ ও কনস্টেবল মাহবুব গুরুতর আহত হন।

বগুড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইতিমধ্যে নূর আলম মন্ডল(সুইট) যুবদল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা পুলিশের মুখপাত্র) সুমন রঞ্জুর সরকার বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে রাতেই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে সোনাতলা উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চর থেকে ঘটনার মূল হোতা নূর আলম ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনা সরকারি কাজে বাধা এবং অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের দায়ে দুটি আলাদা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর