দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রশংসায় বান কি মুন

আপডেট: September 9, 2020 |

ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন। তিনি বলেন, সারা পৃথিবী যখন জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করছে, তখন বাংলাদেশ দুর্যোগের মোকাবেলায় শক্ত হাতে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্রের (গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশান-জিসিএ) এই চেয়ারপার্সন এসব কথা বলেন। বান কি-মুন বলেন, আমরা এখানে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা নিতে চাই।

তিনি বলেন, অভিযোজনের ক্ষেত্রে আমাদের সেরা শিক্ষক হচ্ছে তারাই, যাদের অবস্থান জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সম্মুখসারিতে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো খুব কম দেশই আছে, যারা আমাদের শেখাতে পারে।ঢাকায় জিসিএর আঞ্চলিক কার্যালয় করার পেছনে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে এ বক্তব্য দেন বান কি মুন। এর আগে আরেকটি ভার্চুয়াল আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কার্যালয়টি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশের ক্ষতির কথা তুলে ধরে জিসিএ চেয়ারপার্সন বলেন, আইপিসিসির তথ্য অনুসারে, সমুদ্রপৃষ্ঠ ১ মিটার উঁচু হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১৭ ভাগ পানির নিচে চলে যাবে। জাতিসংঘের আরেকটি রিপোর্ট বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ঢাকা শহর ডুবে যেতে পারে।

বান কি-মুন বলেন, অভিযোজনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, নিজের ঝুঁকি সম্পর্কে ও তা মোকাবেলার পদ্ধতি জানা এবং মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, জিসিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ভার্কুইজেন বক্তব্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈশ্বিক ইস্যু জলবায়ু পরিবর্তনকে দুয়েকটা দেশের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না। অন্য আরেকটা পৃথিবী যাতে আমরা পাব না, সেক্ষেত্রে এটা ছাড়া ভিন্ন চিন্তা করারও সুযোগ নেই।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় অনেক দেশ এগিয়ে এসেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু দেশ এগিয়ে আসছে না। আমরা চাই তারাও এগিয়ে আসুক।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর