প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের বিস্ময় সড়কে লাখো মানুষ উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন ।

বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন ।

শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতির আগ্রহে তৈরি হয়েছে ৩০ কিলোমিটারের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক। যার ফলে লাখো মানুষ উপকৃত হবে। সড়কটির ফলে হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা অনেকটা লাঘব হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটা উপজেলার কিন্তু এক একটা বৈশিষ্ট্য আছে। প্রত্যেকটা উপজেলায় এক একটা পণ্য বিশেষভাবে উৎপাদিত হয়, উৎপাদিত পণ্য যেন বাজারজাত হয়, যারা এ কাজের সাথে জড়িত তারা যেন ন্যায্য মূল্য পায়, আমরা সেই ব্যবস্থা করতে চাই। অষ্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের পনির তৈরি হয়, কিন্তু বাজারজাত করার অসুবিধা ছিল বলে সেটা খুব ভালোভাবে কার্যকর হয়নি, এবার যেহেতু রাস্তা হয়ে গেছে, এখন আমি মনে করি অষ্টগ্রামের উৎপাদিত পনির শুধু ঢাকা শহরে না, আমরা বিদেশেও পাঠাতে পারব। অর্থনৈতিকভাবে এই অঞ্চলের মানুষ যেন আরও উন্নত হয়, সমৃদ্ধশালী হয় সেটাই করতে চাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিল্প অঞ্চল গড়ে তুলছি। অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। যে অঞ্চলে যে পণ্য উৎপাদিত হয় তার ভিত্তিতে যেন শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠে সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি। যেহেতু হাওড় অঞ্চল, হাওড়ে বিশাল মৎস ভাণ্ডার আছে। সেই মৎস চাষ, প্রক্রিয়াজাত করা, বাজারজাত করতে যাতে সুবিধা হয় সেভাবে শিল্প গড়ে তুলতে চাই। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াজাত হবে, বাজারজাত হবে, দেশে-বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা আরও অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

হাওড়বাসীর অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা নিয়ে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাওড় অঞ্চলের মানুষ এখন শুধু মাছ তুলবে না, মাছ যেখানে রাখবে, মাছ সংরক্ষণ করার জন্য বরফকল থেকে বাকি সমস্ত কিছু করেছি। কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ এই তিন জেলায় মৎস অবতরণ কেন্দ্র করে দিচ্ছি। আমাদের কাজই হচ্ছে জনগণের জন্য কাজ করা, জনগণের কল্যাণ করা, সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।’

শীতে করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শীতের সময় করোনাভাইরাস আসে। আগামী শীতকালে আবার আসতে পারে, সেটা মাথায় রেখে প্রত্যেকটা জেলা হাসপাতালে আইসিইউ নির্মাণ থেকে শুরু করে অক্সিজেনের ব্যবস্থা এবং সব ধরনের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। তাছাড়া আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ২ হাজার ডাক্তার, ৩ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি, টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি, আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘হাওড় অঞ্চলে যেমন কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা এ সমস্ত অঞ্চলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করে দিচ্ছি। প্রত্যেকটা বড় জেলায় একটা করে বিশ্ববিদ্যালয় হোক, সেটা আমরা চাই। যেন ছেলে মেয়েরা ঘরের ভাত খেয়ে বাড়ির কাছে থেকে উচ্চ শিক্ষা পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’

 

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা