সাপ্তাহিক অ্যাসাইমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট: October 21, 2020 |

মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা এবার হচ্ছে না করোনাভাইরাসের কারণে । শিক্ষাবর্ষও বাড়ানো হবে না। তবে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবার জন্য সাপ্তাহিক অ্যাসাইমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ।

বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবেন শিক্ষার্থীরা।

করোনার প্রভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।

করোনার কারণে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, ইবতেদায়ি সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

এছাড়া চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নিজ বিদ্যালয়ে মূল্যায়নের কথা চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা মূল্যায়ন কোন পদ্ধতিতে আজ সে বিষয়ে ঘোষণা দিতে আজ সংবাদ সম্মেলন আসেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে মাধ্যমিকে পরীক্ষা না নিয়ে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করতে এনসিটিবি নতুন করে ৩০ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। তার আলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট করতে দেয়া হবে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে এক মাসের চারটি অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এটি মূল্যায়নের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে।

দীপু মনি আরও জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছে অ্যাসাইনমেন্ট পৌঁছে দেবেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করবেন। অ্যাসাইনমেন্টে মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে তার উপর জোর দেয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই মূল্যায়ন শুধুমাত্র আমাদের বোঝার জন্য। শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা আছে, সেগুলো পরের ক্লাসে কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা করতে হবে।

দীপু মনি বলেন, এই মূল্যায়ন তার পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলছে না। এই মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে তাদের কোন কোন জায়গায় দুর্বলতা আছে তা চিহ্নিত করে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর