রায়হান হত্যা মামলা: প্রত্যাহারকৃত এএসআই আশেক হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট: November 2, 2020 |

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা ওই ফাঁড়ির প্রত্যাহারকৃত এএসআই আশেক এলাহি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম আমাদের জানিয়েছেন গত ৩০ অক্টোবর আশেক এলাহি জিজ্ঞাসাবাদের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখনও তার (আশেক এলাহি) শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মনোরোগ বিভাগের অধীন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এর আগে রায়হান হত্যা মামলায় গ্রেফতার প্রত্যাহারকৃত এএসআই আশেক এলাহিকে গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। গত ২৮ অক্টোবর রাতে মহানগর পুলিশ লাইন্স থেকে এএসআই আশেক এলাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়।

রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চাকরি করতেন।

এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

১৪ অক্টোবর মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি লাশ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।

নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন উঠে আসে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয় বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর