এইচপি ইউনিটের প্রস্তুতি ম্যাচে আকবর আলীর ১৩৬ রানের ধ্রুপদী ইনিংস
নামের পাশে সেঞ্চুরি বরাবরই আনন্দের। কিন্তু আকবর আলীর জন্য ১৩৬ রানের ইনিংস সেঞ্চুরির থেকেও বড় কিছু। দীর্ঘদিন পর যে হাসলো তার ব্যাট।
মিরপুর শের-ই-বাংলার ঘাস মাড়িয়ে বড় হয়েছেন আকবর। এ মাঠেই নিজেকে গড়েছেন। সেই মাঠেই আকবর সোমবার খেললেন ১৩৬ রানের ধ্রুপদী ইনিংস। মুগ্ধতা ছড়িয়ে যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক পেয়েছেন সেঞ্চুরি। হোক না নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ। নামের পাশে তিন অঙ্ক সব মঞ্চেই বিশেষ কিছু।
এইচপি ইউনিটের দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে ব্যাটিং করেছিল ‘এ’ দল। আকবরের ১৩৬ রানের ইনিংসে ৮০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ‘এ’ দল করে ৪০৬ রান। ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন শাহাদাত হোসেন। ডানহাতি ওপেনার মাত্র ৬ রানের জন্য পাননি সেঞ্চুরির স্বাদ।
তুলনামূলক আগ্রাসী ব্যাটিং করেছে আফিফ হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলটি। ৫৪ বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা এসেছে ‘এ’দলের ইনিংসে। ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ৪৬ বলে ৬৭ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
তবে আকবরের ইনিংসটি ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ১৬১ বলে ২২০ মিনিটে ২০ চার ও ২ ছক্কায় সাজান দারুণ ইনিংস। প্রথম সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন আকবর। সঙ্গী ছিলেন শাহাদাত। শুরুতে তার সঙ্গে গড়েন ১৩৭ রানের জুটি।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর শাহাদাত মাত্র ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়লেও আকবর হতাশ করেননি। ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান। সেঞ্চুরি পেতে খেলেন আরও ৮১ বল। ধীরস্থির মনোভাব, অসাধারণ টাইমিং ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যাটিংয়ে ১৩৬ রান করেন আকবর। স্পিনার শাহীন আলমের বলে তানভীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ইনিংস।
আকবর ও শাহাদাতের ভালো ব্যাটিংয়ের দিনে রান পাননি আফিফ হোসেন। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ৩০, তানজীদ হাসান তামিম ৩৫ রান করেন।
বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা ও শাহীন আলম। ১টি উইকেট পেয়েছেন নোমান চৌধুরী।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা