পাকিস্তানের নারী মানবাধিকার কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন

আপডেট: December 27, 2020 |

কানাডায় নির্বাসিত পাকিস্তানের নারী মানবাধিকার কর্মী কারিমা বালুচ কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রতিবাদ এবং  সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

আজ রবিবার ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ভাস্কর শিল্পী রাশা, কবি সরদার ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিলন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম বাপ্পীসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘কানাডায় নির্বাসিত নারী মানবাধিকার কর্মী কারিমা বালুচকে পাকিস্তানি আইএসআই হত্যা করে প্রমাণ করেছে যে, পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষক। বেলুচিস্তানের মুসলিম গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। বেলুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী মানুষদের প্রতি আমরা সংহতি জানাচ্ছি। কারিমা বালুচ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

আল মামুন বলেন, ‘কানাডায় নির্বাসিত পাকিস্তানের নারী মানবাধিকার কর্মী কারিমা বালুচ কে পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। পাশাপাশি বেলুচিস্তান মুসলিমদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি আমরা সংহতি জানাচ্ছি। বেলুচিস্তানের মানুষের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। পাকিস্তান সরকারের উচিত অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করে বেলুচিস্তানকে তাদের স্বাধীনতা প্রদান করা। সম্প্রতি কানাডায় নির্বাসিত নারী মানবাধিকার কর্মী কারিমা বালুচকে হত্যার মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান নিজেদেরকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থাপন করেছে। বেলুচিস্তানে মুসলিম গণহত্যা ও মানবাধিকার কর্মী কারিমা বালুচকে হত্যার অপরাধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

।’

ভাস্কর শিল্পী রাশা বলেন, ‘১৯৭১ এর নয় মাস ব্যাপী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও তাদের বাংলাদেশী দোসর রাজাকার আলবদর আলশামসরা মিলে যে ভয়াবহ গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, অপহরণ, লুটপাট চালিয়েছিল তা এক নজির বিহীন ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। তাই পাকিস্তানি সরকার ও সেনাবাহিনীর হাত রক্তরঞ্জিত, তাদের মন ও আচরণ নিষ্ঠুর। সেদিন জানতাম, বাঙালিদেরকেই শুধুমাত্র তারা তাদের শত্রু মনে করে।

পাকিস্তানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সকল জাতিসত্তাকেই সেখানকার পাঞ্জাবী শাসক ও শোষকগোষ্ঠী একই দৃষ্টিতে দেখে। পাকিস্তানের অন্যতম ক্ষুদ্র প্রদেশ বেলুচিস্তানের মানুষেরা যাদের মাতৃভাষা বালুচ- দীর্ঘ দিন যাবত পাকিস্তানের পাঞ্জাবী বাহিনীর হাতে অনুরূপ নিষ্ঠুরতার যন্ত্রণায় ভুগছেন। বেলুচিস্তানের মানুষ আমাদের মুক্তিযুদ্ধকেও নানাভাবে সমর্থন জানিয়েছিল। তাই পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন তাদের ওপর অনেক বেশি।’

বৈশাখী নিউজদিপু

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর