জবিতে মেঘ-মল্লার শিরোনামে শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান

আপডেট: September 16, 2022 |
print news

মো. আরিফ হোসাইন, জবি প্রতিনিধি: ভারতীয় রাগসঙ্গীতের স্বনামধন্য পণ্ডিত বিষ্ণুদিগম্বর পলুস্কার ও নবতর স্বরলিপির উদ্ভাবক পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডের স্মরণে শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মত ‘মেঘ-মল্লার’ শিরোনামে এই শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জবির সংগীত বিভাগের উদ্যোগে বিশিষ্ট এই দুই পণ্ডিতকে উৎসর্গ করে, শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ -এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। এবং আরো উপস্থিত ছিলেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দীন ও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সংগীতকে সংগীত জগতে প্রখ্যাত গুণীদের স্মরণের অন্যতম মাধ্যম উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘সংগীত বিভাগের উদ্যোগে বছরের বিভিন্ন দিবস ও দেশের প্রখ্যাতগুণী ব্যক্তিদের স্মরণে নানান রকমের সংগীতানুষ্ঠান করে থাকে। যেহেতু আমাদের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সংগীত চর্চার করে। তাই আমার বিশ্বাস তারা তাদের পরিবেশিত সংগীতের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ বলেন, চর্যাপদ যেমন আমাদের বাঙালি সাহিত্যের জন্য অমূল্য সম্পদ তেমনিভাবে পণ্ডিত ভাতখণ্ডে ও পন্ডিত পলুঙ্কুরদের মতো গুণীজনেরাও আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। পণ্ডিত বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখণ্ডে ও পণ্ডিত বিষ্ণু দিগম্বর পলুঙ্কুর ভারতীয় উপমহাদেশের সব সংগীত শিল্পীদের অধিকার আদায়ে ছিলেন বীরপুরুষ।

অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মত আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ কোনো শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমরা যদি পৃষ্ঠপোষকতা পাই তাহলে সংগীতাঙ্গনে হারিয়ে যাওয়া এ সকল পণ্ডিতদের স্মরণে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারব। ‘

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, রাগ, দেশ মল্লার, দেশকার , মেঘ-মল্লার সহ আরও সাত ধরনের শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এই সময় সংগীত বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী কান্তা সরকার নৃত্য পরিচালনা করেন। এবং পরিশেষে সম্মিলিত জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

উল্লেখ্য, পণ্ডিত ‘বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখন্ড’ নবতর স্বরলিপির উদ্ভাবক। তিনি ভারতের তৎকালীন বোম্বাই এর কাছে বালকেশ্বর নামক স্থানে ১০ আগস্ট,১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তিনি একটি রেনেসাঁ নিয়ে এসেছিলেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগসমূহকে তিনি বর্তমানের প্রচলিত ঠাট কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এর আগে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগসমূহের ছিল রাগ (পুরুষ), রাগিণী (মহিলা) ও পুত্রা (সন্তান) ভাগে বিভক্ত। ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬ সালে এই মহান পন্ডিত মৃত্যুবরণ করেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর