মধুমতি সেতুতে ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা টোল আদায়


গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতুর উদ্বোধনের পর শুরু হয়েছে যানচলাচল। প্রথম দিনেই সেতুর দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। টোলপ্লাজার ৮টি বুথের মধ্যে ৫টি চালু রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৭৬২টি যানবাহন পারপারে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর মধুমতি সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলে ব্যাপক আনন্দ-উৎসবের সৃষ্টি হয়।
সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে যান যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় নব নিরইমত মধুমতি সেতু। এরপর থেকে এ সেতু পার হয়ে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থল বন্দর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়েত করছে বিভিন্ন যানবাহন। এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখছে।
মধুমতি সেতু চালু হবার পর গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতু দিয়ে ৩ হাজার ৫৭৬টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার হয়েছে। আর এসব যান বাহন থেকে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ টাকার টোল আদায় হয়েছে। সেতুতে থাকা ৮টি টোল বুথের তিন শিফতে ২৪ জন কাজ করছে। তবে এ মধ্যে ৫ টি চালু রয়েছে। টোল আদায়ের তথ্য সরাসরি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারের কাছে চলে যাওয়ায় জালিয়াত রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিদিনই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে এ সেতু দিয়ে দিয়ে বাড়বে যানবাহতে চাপ। ফলে বাড়বে টোল আদায়ের হার।
মধুমতি সেতুতে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে- বড় ট্রেইলার ৫৬৫টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজি অটোরিক্সা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিনচাকার যান ২৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিক্সা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা।
বাংলাদেশের প্রথম ৬ লেনের মধুমতি সেতু উদ্বোধন সাধারন মানুষের মাঝে উল্লাস সৃষ্টি হয়। সেতুটি চালু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, যশোর, খুলনা, বেনাপোল, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। কমেছে ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পথ। ভোগান্তি ছাড়াই মধুমতি নদী পার হওয়ায় খুশি যাত্রী ও চালকেরা।
মধুমতি সেতু, টোলিং সিস্টেম প্রজেক্ট ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে। সেতুতে থাকা ৮টি টোল বুথের তিন শিফতে ২৪ জন কাজ করছে। তবে এ মধ্যে ৫ টি চালু রয়েছে। টোল আদায়ের তথ্য সরাসরি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারের কাছে চলে যাওয়ায় জালিয়াত রোধ করা সম্ভব হবে।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, মধুমতি সেতুটি যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। মধুমতি সেতু চালু হবার পর গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতু দিয়ে ৩ হাজার ৫৭৬টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার হয়েছে। আর এসব যান বাহন থেকে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ টাকার টোল আদায় হয়েছে।