ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন করলেন শতাধিক প্রকল্প


ময়মনসিংহের জনসভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভায় ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার দুপুরে জনসভায় যোগ দেন তিনি।
শেখ হাসিনার এ জনসভায় রেকর্ডসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিতি হয়েছেন। সকাল থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা এসেছেন। সমাবেশ জমিয়ে তুলতে এরই মধ্যে সাংস্কৃতিক মঞ্চ থেকেও চলছে একের পর এক পরিবেশনা।
জনসভা বিকেলে হলেও এরইমধ্যে জনসমুদ্র্রে পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠ। তাকে সামনে থেকে এক নজর দেখার অপেক্ষায় সবাই। লাখো মানুষের স্লোগানে মুখর জনসভা ময়দান।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহ। বিকেলে সার্কিট হাউস মাঠ থেকে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি ৩০টির ভিত্তিস্থাপনের কথা রয়েছে তার। এছাড়াও আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বিকেলে ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহ। প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ শুভেচ্ছা তোরণ, পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে গোটা ময়মনসিংহ। দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত। স্থানীয় প্রশাসন থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা।
উদ্বোধন হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে— ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন জায়গায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ময়মনসিংহ সদরের চর সিরতায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ মেমোরিয়াল ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, ত্রিশাল উপজেলায় এক হাজার আসনবিশিষ্ট অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, ময়মনসিংহ জেলায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের চর আলগী ইউনিয়নকে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থেকে রক্ষার্থে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় গোরবাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর, জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবন শহীদ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ।
এ ছাড়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নির্মাণ, শেখ রেহানা হল নির্মাণ, রোজী জামাল হল নির্মাণ, সরকারি আনন্দ মোহন কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট পাঁচতলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।